সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের আকস্মিক পতন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক চালচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। শুধু সিরিয়াই নয়, ইরান-সমর্থিত জোট এবং এর মিত্রদের ওপরও এই পতনের প্রভাব পড়েছে ইতোমধ্যে। বিশেষ করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এই পরিস্থিতিতে নতুন উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে।
ইসরায়েলি একটি সূত্র মতে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে হুতিদের ওপর বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর কথা ভাবছে ইসরায়েল। গাজায় গণহত্যা বন্ধের প্রতিবাদে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা অব্যাহত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন ছিলো স্বৈরাচার বাশার আল আসাদের। সিরিয়ার ইয়েমেনি দূতাবাসও হুথিদের হাতে তুলে দিয়েছিল আসাদ সরকার। সামরিক সহযোগিতাও ছিল দীর্ঘদিনের। তবে আসাদের পতনের বিষয়ে হুথি নেতারা এখন সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে চলছেন। এমনকি হুথিদের একজন শীর্ষ নেতা হুসাইন আল-আজিজ আসাদের সঙ্গে মতপার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি হুথিদের নৌপথে হামলার বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, এই হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।
ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমন যৌথ পদক্ষেপ হুথিদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আসাদের পতনের প্রেক্ষাপটে হুথি নেতৃত্বের সতর্ক অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে নতুন মোড়ে নিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : আল আরাবী আল জাদীদ