তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, গত পাঁচ দিনে তুরস্ক থেকে ৭,৬২১ জন সিরীয় শরণার্থী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে গেছেন। বাশার আল-আসাদের পলায়নের পর (৮ ডিসেম্বর) থেকে এই প্রত্যাবর্তন শুরু হয়েছে।
৯ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বিভিন্ন চেকপয়েন্ট দিয়ে তাদের ফেরার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মন্ত্রী জানান, আসাদের ক্ষমতা হারানোর আগমুহূর্তে প্রতিদিন শত শত মানুষ সিরিয়ায় ফিরতেন। তবে তার পলায়নের পর এই সংখ্যা দৈনিক হাজারে পৌঁছেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তুরস্কে অস্থায়ী সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় থাকা সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা ২৯ লাখ ৩৬ হাজার।
সীমান্ত পারাপার সহজ করতে তুরস্ক নতুন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন সীমান্ত চেকপয়েন্টগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হচ্ছে। যারা দেশে ফিরছেন, তাদের বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সীমান্ত পারাপারের সক্ষমতা তিন হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার করা হয়েছে।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে বেশ কয়েকটি চেকপয়েন্ট চালু রয়েছে। তবে সবগুলোতে ব্যক্তিগত পারাপার অনুমোদিত নয়। বর্তমানে চালু থাকা চেকপয়েন্টগুলো হলো বাবুল-হাওয়া, বাবুস-সালামা এবং জারাবলুস।
গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্টগুলো
বাবুল-হাওয়া: তুরস্কের হাতায় প্রদেশ এবং সিরিয়ার ইদলিবকে সংযুক্তকারী এই চেকপয়েন্টটি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় প্রবেশদ্বার। এটি ‘হাইয়াত তাহরির আশ-শামের’ নিয়ন্ত্রিত। বাবুল-হাওয়া মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাবুস-সালামা, জারাবলুস ও আল-রাই: আলেপ্পোয় অবস্থিত এই চেকপয়েন্টগুলো বর্তমান পরিচালনা করে ‘সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার’।
আল-হামাম চেকপয়েন্ট: ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই চেকপয়েন্ট তুরস্কের আফরিন অঞ্চলের জিন্দিরেসের সঙ্গে সংযোগ । এটি পরিচালিত হয় ‘সিরিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনী’ দ্বারা।
কাসাব চেকপয়েন্ট: তুরস্কের হাতায় প্রদেশ এবং সিরিয়ার লাতাকিয়ার কাসাব শহরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এই চেকপয়েন্টটি বর্তমানে বন্ধ।
সিরিয়ায় শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া শুরু হওয়ায় সীমান্ত এলাকাগুলোতে চেকপয়েন্টগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। দীর্ঘদিনের শরণার্থী জীবন শেষে দেশে ফেরার সুযোগ পেয়ে অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: ইনাব বালাদী