উত্তর দারফুরের রাজধানী ফাশারে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলা প্রতিহত করেছে সুদানের সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর দাবি, এ অভিযানে আরএসএফ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার রাতে আরএসএফ ফাশারের দক্ষিণ দিক থেকে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে সেনাবাহিনী, যৌথ বাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাল্টা আক্রমণে তারা ব্যর্থ হয়। এতে বহু আরএসএফ সদস্য নিহত হয় এবং তাদের সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়।
পাল্টা আক্রমণের পর আরএসএফ আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে, এতে কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেনাবাহিনী দাবি করেছে, একটি ভুল হামলায় আরএসএফের নিজেদের ২০ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার আরএসএফের ড্রোন হামলায় ফাশারের একটি আবাসিক এলাকায় ৩ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হন। এর আগের দিন আরএসএফ শহরের প্রধান হাসপাতালে হামলা চালায়। এতে ৯ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এক বিবৃতিতে জানান, হাসপাতালের ওই হামলায় রোগী ও তাদের স্বজনরা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গোলাবর্ষণে হাসপাতালের ওয়ার্ড, ফার্মেসি এবং অপারেশন থিয়েটার ধ্বংস হওয়ায় সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সুদানের অবকাঠামো ও সড়ক মন্ত্রী এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, রোগী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তিনি এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে রাজধানী খার্তুমের উত্তরের বাহরি এলাকায় সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সেনাবাহিনী আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাফুরি এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত চলছে। এ পর্যন্ত এ সংঘাতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা