সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতন তুরস্ক-সিরিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা ফিরতে থাকায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশের জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন আঞ্চলিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়ার রপ্তানিকারক ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে সিরিয়ার সঙ্গে এই অঞ্চলের রপ্তানি ছিল ২২৪.৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৫৯৪.৫ মিলিয়ন ডলার।
রপ্তানিকারক ইউনিয়নের প্রধান আহমেত ফিকরাত কিলিকি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। সিরিয়ার জনগণ নিজ দেশে ফিরে পুনর্গঠনের কাজে যুক্ত হলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যের গতি বাড়বে।’
তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সিরিয়ার পুনর্গঠনে অংশীদার হতে প্রস্তুত। বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়ার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সিরিয়ার পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শস্য, ডাল ও তৈলবীজ রপ্তানিকারক ইউনিয়নের প্রধান জেলাল কাদোওগ্লু জানান, ২০২৪ সালে এই খাতে তুরস্কের মোট রপ্তানি ছিল ৩.১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সিরিয়ার অংশ ছিল ২৫০ মিলিয়ন ডলার। আগামী কয়েক বছরে তা ৬০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার টার্গেট রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তুর্কি খাদ্যপণ্যের জনপ্রিয়তা সিরিয়ায় ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন এবং উৎপাদন কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলে তুরস্কের পণ্যের চাহিদাও বাড়বে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরলে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে। এটি কেবল দুই দেশের নয়, পুরো অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
সূত্র : আনাদোলো, আল জাজিরা