ইসলাম ইনসাইট

মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা

মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা
মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যামধ্যপ্রাচ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যামধ্যপ্রাচ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যামধ্যপ্রাচ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। ছবি : ইনাব বালাদি

বিশ্বজুড়ে শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২২.৬ মিলিয়ন মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। এর বড় অংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আরব বিশ্বে।

সিরিয়া

বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতির সংকট চলছে সিরিয়ায়। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের কারণে ১৩.৮ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬.৩ মিলিয়ন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন দেশে।

সুদান

সুদানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে ১০.৫ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ ও মিশরের মতো প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ১.৮ মিলিয়ন শরণার্থী।

গাজা

গাজায় যুদ্ধের প্রভাব সরাসরি ১.৯ মিলিয়ন মানুষকে অন্তত একবার ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে, যা মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ। রাফা সীমান্ত বন্ধ হওয়ার আগে আরও ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ মিশরে পাড়ি দিয়েছেন।

লেবানন

ইসরায়েলের বোমা হামলায় লেবাননে ১.৪ মিলিয়নের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত এই বাস্তুচ্যুতি চলতে থাকে।

ইয়েমেন

দীর্ঘ সংঘাতে ইয়েমেন থেকে ৪.৫ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এরপরও সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার ৬০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ।

প্রতিটি সংখ্যা লুকিয়ে রেখেছে হাজারো স্বপ্নভঙ্গের গল্প। যুদ্ধ, সংঘাত আর বাস্তুচ্যুতির ধাক্কায় এসব মানুষের জীবন যেন থেমে গেছে। মানবতা কি একদিন জাগবে, নাকি এই দুর্দশার তালিকা আরও দীর্ঘ হবে ?

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore