ইসলাম ইনসাইট

সিরিয়ার অন্তর্বতী সরকারের মন্ত্রিসভা ঘোষণা, কারা থাকছেন

সিরিয়ার অন্তর্বতী সরকারের মন্ত্রিসভা ঘোষণা, কারা থাকছেন
সিরিয়ার অন্তর্বতী সরকারের মন্ত্রিসভা ঘোষণা, কারা থাকছেন। ছবি : আল জাজিরা

দামেস্কে প্রবেশ করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার একদিন পর, সোমবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৪) সিরিয়ার নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ আল-বাশিরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সিরিয়ান স্যালভেশন সরকারের প্রধান হিসেবে ইদলিবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনকারী এই নেতা আগামী মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।

আসাদ সরকারের পতনের পরপরই নতুন সরকারের কাঠামো ঘোষণা শুরু হয়। ইতোমধ্যে মন্ত্রী ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ‘জুসুর স্টাডি সেন্টার’-এর তথ্যমতে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভা নিম্নরূপ:

প্রধানমন্ত্রী: মোহাম্মদ আল-বাশির

মোহাম্মদ আল-বাশির একজন রাজনীতিবিদ এবং প্রকৌশলী। ১৯৮৩ সালে ইদলিবের জাবাল আল-জাওয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৭ সালে আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং ২০২১ সালে ইদলিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়া ও আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।

প্রথমে সিরিয়ান গ্যাস কোম্পানির গ্যাস কারখানায় সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ইদলিবে স্যালভেশন সরকারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ মেয়াদে উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের শুরুতে সপ্তম মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

আসাদ পতনের পর, তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, যার মূল দায়িত্ব হবে দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংকট সমাধানে নেতৃত্ব দেওয়া।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী: আসাদ আল-শিবানি

আসাদ আল-শিবানি ১৯৮৭ সালে সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল সাবাহ আল-দীন জায়েম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০১১ সালে সিরিয়ার বিপ্লব শুরুর সময় শিবানি এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন। বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি ‘স্যালভেশন সরকার’ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিবানি ‘জায়েদ আল-আত্তার’ ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। হাইয়াত তাহরির আল-শাম সংগঠনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার নেতৃত্বে ইদলিবে ‘স্যালভেশন সরকারের’ রাজনৈতিক প্রশাসন পরিচালিত হয়। তিনি তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তে বাব আল-হাওয়া ক্রসিংয়ে বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে উন্নতি করেন। এর পাশাপাশি তিনি নিরাপত্তা ইস্যু এবং বিদেশি যোদ্ধাদের তদারকিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী: মরহাফ আবু কাসরা

মরহাফ আবু কাসরা হিমস প্রদেশের হালফায়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি প্রকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার বিপ্লব শুরু হওয়ার পর তিনি সশস্ত্র বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন এবং হাইয়াত তাহরির আল-শাম সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

‘আবু হাসান হামাউই’ নামে পরিচিত এই নেতা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহীদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত ‘রদউল উদওয়ান’ অভিযান আসাদ সরকারের পতনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: মোহাম্মদ আব্দুর রহমান

মোহাম্মদ আব্দুর রহমান ২০২২ সালে সিরিয়ার ‘স্যালভেশন সরকার’-এর পঞ্চম মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে ষষ্ঠ মেয়াদেও তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। এ সময় তিনি মুক্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র ইস্যু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা এলাকাগুলোর সেবার মান উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। অপরাধ দমন, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তার ভূমিকা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী: মাহের আল-শরাআ

১৯৭৩ সালে দামেস্কে জন্মগ্রহণকারী মাহের আল-শরাআ চিকিৎসা খাতে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে, পাশাপাশি তিনি বন্ধ্যত্ব ও প্রজনন চিকিৎসায় পারদর্শী। চিকিৎসা বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ডিপ্লোমাধারী মাহের আল-শরাআ স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
ইদলিবে ‘স্যালভেশন সরকার’-এর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে তিনি স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। তার বিপুল অভিজ্ঞতা সিরিয়ার নতুন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও আধুনিক করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী: মোহাম্মদ ইয়াকুব আল-ওমর

মোহাম্মদ ইয়াকুব আল-ওমর ১৯৮৫ সালে ইদলিব প্রদেশের খান আল-সাবল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী ইয়াকুব ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উত্তর সিরিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
তিনি ‘জাইশুল ফাতাহ’ এর গণমাধ্যম শাখার সদস্য ছিলেন এবং সিরিয়ার ‘স্যালভেশন সরকার’-এর গণমাধ্যম অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে তিনি এই অধিদপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কৃষি ও সেচ মন্ত্রী: মোহাম্মদ তাহা আল-আহমাদ

মোহাম্মদ তাহা আল-আহমাদ ১৯৮২ সালে হামা প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তিনি আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি প্রকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১২ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি প্রকল্পের আর্থিক ও অর্থনৈতিক মূল্যায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২০ সালে ইদলিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কৃষি উন্নয়নে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তাহা আল-আহমাদ এর আগে ‘স্যালভেশন সরকার’-এর প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থনীতি ও সম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৃতীয় থেকে পঞ্চম মেয়াদে কৃষি মন্ত্রী ছিলেন এবং ষষ্ঠ মেয়াদে কৃষি ও সেচ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। এছাড়া, ২০১৭ সালে তিনি ইদলিবের নাগরিক প্রশাসন ও সেবাখাত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী: নাজির মোহাম্মদ আল-কাদরি

নাজির মোহাম্মদ আল-কাদরি ১৯৭০ সালে দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৮ বছর ধরে আরবি ভাষার শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
২০০৮ সালে আসাদ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি ১০ বছর কারাভোগ করেন। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ‘স্যালভেশন সরকার’-এর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

উন্নয়ন মন্ত্রী: ফাদি আল-কাসেম

ফাদি আল-কাসেম ১৯৮০ সালে ইদলিব প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৩ সালে তিনি আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে নগর পরিকল্পনা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ফাদি আল-কাসেম সিরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে অবকাঠামো এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার দক্ষতার কারণে ‘স্যালভেশন সরকার’-এর সপ্তম মেয়াদে তিনি উন্নয়ন ও মানবিক বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

স্থানীয় প্রশাসন ও সেবাখাত মন্ত্রী: মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মুসলিম

মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মুসলিম ১৯৮০ সালে ইদলিব প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৩ সালে আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ‘স্যালভেশন সরকার’-এর স্থানীয় প্রশাসন ও সেবাখাত মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং ইদলিবে স্থানীয় পরিষদ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি মাআরাত আল-নুমান শহরের স্থানীয় পরিষদের প্রধান ছিলেন। এরপরে তিনি প্রদেশের প্রযুক্তিগত সেবা বিভাগের পরিচালক হিসেবে পুনর্গঠন প্রকল্প এবং মৌলিক সেবার বাস্তবায়ন তদারকি করেন।
২০২৪ সালের শেষের দিকে তাকে স্থানীয় প্রশাসন ও সেবাখাত মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ধর্মমন্ত্রী: হুসাম হুসেইন

হুসাম হুসেইন ১৯৭৭ সালে ইদলিব প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী আইনশাস্ত্রে স্নাতক এবং শিক্ষাগত প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
২০০২ সালে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মুক্ত অঞ্চলে তিনি প্রশাসনিক ও ধর্মীয় প্রচারণার কাজেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে, ‘স্যালভেশন সরকার’-এর চতুর্থ মেয়াদে তিনি ধর্ম ও নির্দেশনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ন্যায়বিচার মন্ত্রী: শাদি মোহাম্মদ আল-ওয়াইসি

শাদি মোহাম্মদ আল-ওয়াইসি ১৯৮৫ সালে আলেপ্পো প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামী আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি এবং শিক্ষাগত প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ইসলামী ও বিচারিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর গবেষণায় নিয়োজিত। এর আগে তিনি আলেপ্পোর চতুর্দেশীয় শরীয়াহ বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন, যা তাকে বিচারিক প্রশাসনে অভিজ্ঞ করে তুলেছে।

অর্থমন্ত্রী: বাসেল আব্দুল আজিজ

বাসেল আব্দুল আজিজ ২০০৯ সালে আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্বালানি প্রকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
তিনি আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া, ‘স্যালভেশন সরকার’-এর তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম মেয়াদে অর্থনীতি ও সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এই মন্ত্রীদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সিরিয়ার নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।