গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
পোপ উক্ত বার্তায় গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, ‘গাজার মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। যুদ্ধবিরতি হোক, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক এবং যুদ্ধ ও ক্ষুধায় ক্লান্ত জনগণকে সাহায্য করা হোক।’
পোপের ভাষ্যে, ইসরায়েল গাজাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কারাগারে পরিণত করেছে। গত ১৮ বছর ধরে চলা অবরোধের ফলে সেখানে ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের চরম সংকটে তাদের দুর্ভোগ সীমা৷ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি সঠিক ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সংলাপ ও শান্তির দরজা খুলে দেওয়া জরুরি। মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রবিরতি প্রয়োজন।’
সগাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইতিপূর্বেও সরব হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। গত সপ্তাহে তিনি ইসরায়েলের গণহত্যাকে ‘নৃশংস’ বলে অভিহিত করেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি। ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি তীব্র খাদ্য সংকটে বহু শিশু ও বৃদ্ধ প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত ২১ নভেম্বর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তবে ইসরায়েল এ পরোয়ানা উপেক্ষা করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : আনাদোলো