গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা দিন দিন তীব্র হচ্ছে। মঙ্গলবার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ৭ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। একই সঙ্গে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিম অংশে ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়ি ধ্বংসের অভিযান অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ৩৭ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের শেখ রেদওয়ান এলাকায় মিকদাদ পরিবারের বাড়িতে চালানো হামলায় একজন শহিদ ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। বুরেইজ ও নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরেও গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, গাজায় কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়। দেইর আল বালাহ এলাকায় হামলায় আহত চার শিশুসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনির চিকিৎসার সময় সংস্থাটি এ মন্তব্য করে।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় জাওয়াইদা এলাকায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া একটি পরিবারের ওপর চালানো হামলায় এক ফিলিস্তিনি ও তার স্ত্রী শহিদ হন। আহত হন শিশুসহ আরও ছয়জন।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা আজ এক মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা