আরাখা আর্মি (AA), যাকে আমরা সাধারণত আরাকান আর্মি নামে চিনি, তাদের গঠন এবং উদ্দেশ্য এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে তাদের সম্পর্ক সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা বিদ্যমান। এই প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো।
আরাকান আর্মি কারা?
আরাকান আর্মি মূলত রাখাইন জাতির মধ্য থেকে কিছু উগ্রপন্থী ও চরমপন্থী ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত একটি সংগঠন। তাদের মূল উদ্দেশ্য রাখাইন জাতির প্রতিনিধিত্ব করা নয়, বরং এই অঞ্চলের ড্রাগ ও অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ দখল করা এবং জিও-পলিটিক্যাল অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করা।
আরাকান আর্মি এবং রোহিঙ্গা
যদিও রোহিঙ্গা মুসলিমরা আরাকান রাজ্যকে “আরাকান” বলে থাকে, বাস্তবতা হলো আরাকান আর্মি রাখাইন জাতির মধ্য থেকে উঠে এসেছে। ঐতিহাসিকভাবে, এই সংগঠনের সদস্যরা আরাকানে বসবাসকারী মুসলিমদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর প্রভাব
আরাকান আর্মির কার্যক্রমের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৮-৫২ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমের বসবাস যেখানে ছিলো, সেখানে আজ মাত্র ৫-৬ লক্ষ রোহিঙ্গা কোনোরকম জীবনযাপন করছে। এর অর্ধেকেরও বেশি জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা দ্বারা পরিচালিত (IDP) অভ্যান্তরীণ গৃহহীন মানুষের মতো জীবনযাপন করছে।
আরাকান আর্মির কিছু বাস্তবতা
কিছু বছর আগে পর্যন্ত আরাকান আর্মি আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও সংস্থায় দেয়া নানান বক্তব্য ও সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গাদের অধিকারে তারাও সোচ্চার বলে জানিয়েছিলো, অথচ সামান্য কিছু এরিয়া তাদের দখলে আসা মাত্রই খোলস পাল্টিয়ে তাদের নিকট যেকোন রোহিঙ্গারা হয়ে গেলো “বাঙালি মুসলিম সন্ত্রাসী” এমন কি তারা নিজেদের নাম আরাকান আর্মি থেকে আরাখা আর্মি তে পরিবর্তন করে নেয় আর এখন ব্যাপক-আকারে রোহিঙ্গাদের উপর চলছে নতুন এক গনহত্যা এ যেনো জান্তার উপর আরেক জান্তা, চলছে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরন, জোর-পূর্বক ভিটেমাটি ত্যাগে বাধ্য করা সহ সকল অত্যাচার।
পরিশেষে
আমাদের মনে রাখতে হবে, এই আরাকান আর্মি শক্তিশালী হয়ে উঠার সাথে সাথে আমাদের পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠবে, সন্ত্রাসী এই সংগঠন দ্বারা তারা এ অঞ্চলে তৈরি করবে ত্রাসের রাজত্ব। ইয়াবা, আফিম সহ নানা অপরাধে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে এক অস্থির দেশে যার প্রমাণ ইতিমধ্যে তারা দিয়ে এসেছে।