ফরহাদ মজহার। আপনারা অনেকেই তাকে চিনেন। আবার অনেকেই তাকে ইসলামের অনেক বড় খাদেম বা সেবক মনে করেন, কারণ ইসলামের কিছু নতুন ব্যাখা বয়ান মানুষের সামনে হাজির করেন। মুলত একজন লালনবাদী হয়ে লালনের দর্শনকে ইসলামের রঙ মাখিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিতে চান।
কিন্তু সে যে একজন ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষী তা খুব কম লোক ই জানে !
আজকে আমরা ইসলামকে ব্যঙ্গ করে তার লিখা কবিতার বই এবাদতনামা থেকে তার ভয়ঙ্কর আল্লাহ ও ইসলামকে নিজে বাজে মন্তব্য ও বিদ্বেষ তুলে ধরবো ইন শা আল্লাহ।
এবাদতনামা বইয়ের ৫ নং কবিতার ১ম প্যারায় সে লিখেছেঃ
এ জিহবা তোমার তুমি কেন তবু নিজের জিহবায়
নিজের প্রশংসা ছাড়া আর কিছু চাও না মাবুদ
এ দিল কি সারাখন সোহবতে থাকে ? এ মেজাজ
হামেশাই বিগড়ায়, তখন কি করি রহমান?
এই লাইনগুলোর মাধ্যমে মূলত সে আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা যে আমাদেরকে তার প্রশংসা করতে বলেছেন সেটাকে ব্যঙ্গ করেছে। মানুষের অঙ্গকে আল্লাহর অঙ্গের সাথে তুলনা দিয়ে শিরকী কথা বলেছে। সে এই লাইনগুলোর মাধ্যমে এটা বুঝাতে চাচ্ছে যে, আল্লাহর প্রশংসা করার সময় তার নেই। তার মন পরিবর্তনশীল, তাই সে প্রশংসা করতে পারবেই না, উল্টো আল্লাহর নিযামকে প্রশ্নবিদ্ধ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
এই কবিতার শেষ দুটি লাইনে সে লিখেছেঃ
তদুপরি কবিদের বানিয়েছ আস্ত বেয়াদপ
তারা বেয়াদপি করলে খেপো কেন আল্লা হুজুর!
এই দুই লাইনে সে যা মিন করেছে, তা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা মানুষকে তার ইবাদাতের জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, তার দয়া ও রহমতেই আমরা এখনো পৃথিবীতে টিকে আছি। আর এই কুকুর ফরহাদ কিনা আল্লাহকে গালি দেয়! তার নিযামকে নিয়ে আঙ্গুল তুলে !!
ফরহাদ মজহার এখন তার নিজের বানানো জগাখিচুড়ি মার্কা দর্শন দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় আছে। তার লালনবাদী দর্শনের আড়ালে ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষ লুকিয়ে আছে। বিস্তারিত জানতে আমাদের এই নতুন সিরিজের সাথেই থাকুন।