ইসলাম ইনসাইট

ফরহাদ মজহারঃ সুশীলের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষী (২য় পর্ব)

ফরহাদ মজহার

গতপর্বে আমরা এই কুলাঙ্গারের লেখা বই ‘এবাদতনামা’ থেকে কিছু কবিতায় তার ইসলামবিদ্বেষী চরিত্র তুলে ধরেছিলাম। আজকের পর্বেও আমরা তার কিছু নিকৃষ্ট নমুনা তুলে ধরছিঃ

 

এবাদতনামার ৬ নাম্বার কবিতায় সে লিখেছেঃ

 

ধরো আমাদের গ্রামে আলহাজ সামাদ মৌলবি

তিনি খোদ নিজ নামে বাহাত্তর বিঘা হালটের

জমির মালিক, তেতাল্লিশ চেয়ারম্যান, ষাট বিঘা রশিদ কন্ট্রাক্টর

ইটের ভাটার মালিক ছরু মিয়া

চৌদ্দ বিঘা বিশ ডেসিমেল, বাকি থাকে ছমিরুদ্দি

চন্দনের বাপ, হারাধন – প্রত্যেকেই কমবেশি প্রভু

মালিক এ জমিনের – প্রত্যেকেই তোমার শরিক

তোমার শরিক নাই এই কথা কি তবে বোগাস !

 

এই কবিতায় আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালাকে সরাসরি আঘাত করা হয়েছে। আল্লাহর নিযামকে বাজেভাবে উপস্থাপিত করেছে কুলাঙ্গার ফরহাদ। আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে তার প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ বলেন,

“তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা ফাতির, আয়াতঃ ৩৯)”

 

আমরা উক্ত আয়াত দ্বারা বুঝতে পারি, মানুষের কাজ প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহর ইবাদাত করা, তার আনুগত্য করা। সকল আদেশ – নিষেধ মেনে চলা ও বিধিবিধান বাস্তবায়ন করা। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য, চলার জন্য মানুষকে অনেক কিছু করতে হয়। যেমন বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি। বাসস্থানের জন্য জায়গা নিলে সে বাসা বা জায়গার মালিক বাহ্যিকভাবে উক্ত ব্যক্তি হবেন। কিন্তু মূলত সেই জায়গা সহ পুরো বিশ্বজগতের আসল মালিক আল্লাহ। মানুষ উক্ত জায়গার অস্থায়ী জায়গার মালিক হয়েছে কিছুদিনের জন্য, যতদিন সে দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে। অথচ ফরহাদ কুলাঙ্গার এই মালিকানার সাথে আল্লাহর মালিকানাকে সমকক্ষ উল্লেখ করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।

 

শুধু তাই নয়, “তোমার শরিক নাই এই কথা কি তবে বোগাস” এই লাইনের লাইনের মাধ্যমে সে আল্লাহর আয়াতকে ব্যঙ্গ করেছে। এর চেয়ে জঘন্যতম অপরাধ আর কি হতে পারে ?

 

এভাবেই ইসলামবিদ্বেষী ফরহাদ তার লেখনীর মাধ্যমে ইসলাম, আল্লাহ ও তার রাসুল সাঃ কে নিয়ে বাজে কথা বলেছে যা ক্ষমার অযোগ্য। তাই এই কুলাঙ্গারের রাজনৈতিক আদর্শ ও লেখনীর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore