ইসলাম ইনসাইট

ব্ল্যাকবক্স: উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা বিশ্লেষণের নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি

??????????????????????????????????????????????????????????????????

ইসলাম ইনসাইট || টেকনোলজি

ব্ল্যাকবক্স আসলে একটি অপরিহার্য এভিয়েশন যন্ত্র যা বিমান দুর্ঘটনার পর তদন্তের প্রধান সূত্র হিসেবে কাজ করে। যদিও নাম “ব্ল্যাকবক্স”, কিন্তু এর আসল রঙ উজ্জ্বল কমলা যাতে এটি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে সহজে শনাক্ত করা যায়।

ব্ল্যাকবক্সের ধারণাটি আসে ১৯৫০-এর দশকে। প্রথম আধুনিক ব্ল্যাকবক্স উদ্ভাবন করেন অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন। ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়া এই প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করে এবং পরে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশও এটি অনুসরণ করে। ১৯৬৭ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য ব্ল্যাকবক্স অপরিহার্য সরঞ্জাম হিসেবে গণ্য হয়।

ব্ল্যাকবক্স মূলত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত:

১. একটি হলো Cockpit Voice Recorder (CVR) যা পাইলট ও ককপিটে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তির কথোপকথন, কন্ট্রোল প্যানেলের অডিও সিগন্যাল এবং ককপিটের আশপাশের শব্দ রেকর্ড করে।
২. অন্যটি হলো Flight Data Recorder (FDR) যা বিমানের শত শত প্রযুক্তিগত ডেটা পয়েন্ট যেমন গতি, উচ্চতা, থ্রাস্ট, পিচ, রাডার সিগন্যাল, ফ্ল্যাপের অবস্থান ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষণ করে।

এই রেকর্ডারগুলোতে থাকে crash-survivable memory units, যেগুলো অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা (১১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত), প্রবল চাপ এবং পানির গভীরতায় টিকে থাকার জন্য ডিজাইন করা। ব্ল্যাকবক্স সাধারণত বিমানের পিছনের অংশে ইনস্টল করা হয়, যেহেতু দুর্ঘটনার সময় এই অংশটি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার ও বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ডিভাইসের ডেটাই বলে দেয় শেষ মুহূর্তে কী ঘটেছিল বিমান প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়েছে, না পাইলটের সিদ্ধান্তজনিত কারণে। ব্ল্যাকবক্সের ডেটা বিশ্লেষণ করে শুধু এই একটি দুর্ঘটনার কারণই নয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত করা হয়। সেইজন্য প্রতিটি বাণিজ্যিক ও সামরিক বিমানে এই রেকর্ডার বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহৃত হয়।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore