ইসলাম ইনসাইট

চীনের J-16 মোতায়েনের কৌশলগত বিশ্লেষণ

???????????????????????????????????????????????????????????????????

ইসলাম ইনসাইট – ওয়ার এনালাইসিস

চীন দক্ষিণ চীন সাগরে J-16 যুদ্ধবিমান মোতায়েনের মাধ্যমে তাদের সামরিক ক্ষমতা আরও সুসংহত করছে। এই পদক্ষেপ নিছক শুধু আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠারই লক্ষণ নয়, বরং এটি Anti-Access/Area-Denial (A2/AD) কৌশলের অংশ, যা মূলত মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও বিমানবাহী রণতরীর কার্যকারিতা হ্রাস করার জন্য গৃহীত হয়েছে।

উল্লেখ্য J-16 হল একটি উন্নত মাল্টিরোল ফাইটার, যা ৩০,০০০ পাউন্ড থ্রাস্টসহ Mach 2 গতিতে চলতে সক্ষম। এটি আধুনিক AESA রাডার দ্বারা সজ্জিত, যা শত্রু বিমানের গতিবিধি শনাক্ত করতে সক্ষম। চীনের এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের উপর সামরিক চাপ বৃদ্ধি করবে, কারণ পারাসেল দ্বীপপুঞ্জে এই বিমানের অবস্থান চীনের আক্রমণাত্মক নীতিকে আরও সম্প্রসারিত করবে।

এছাড়া চীন ইতিমধ্যেই তাইওয়ান ঘিরে “মক ব্লকেড” এবং যুদ্ধবিমানের মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এটি মূলত তাইওয়ানকে ক্লান্ত ও অভ্যস্ত করার মনস্তাত্ত্বিক কৌশল, যাতে ভবিষ্যতের যেকোনো অবরোধ বা আক্রমণের প্রতিক্রিয়া দুর্বল হয়।

এই পরিস্থিতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি করছে। চীন যদি দক্ষিণ চীন সাগরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়, তবে এটি তাইওয়ানের দক্ষিণ প্রবেশপথ বন্ধ করে দিবে, যা একটি সম্ভাব্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তার মিত্র রাষ্ট্রের জন্য এই কৌশল মোকাবিলা করবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।⁩

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore