ভারতের তথাকথিত নাগা সাধুদের আচরণ মানব সভ্যতার সকল নীতিমালাকে লঙ্ঘন করে চলেছে। শ্মশানে মৃতদেহের সাথে বিকৃত ঘৃণ্য যৌন কর্মকাণ্ড, মানব মাংস ভক্ষণ, শিশু বলির গোপন রীতি এবং রক্তপানের মতো নৃশংস কাজগুলো তারা ‘ধর্মীয় রীতি’ নামে চালিয়ে দিচ্ছে। মাদকাসক্তি, নগ্নতা এবং যৌন উচ্ছৃঙ্খলতাকে তারা ‘আধ্যাত্মিক মুক্তি’ বলে প্রচার করলেও বাস্তবে এটি মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও সমাজবিধ্বংসী আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।
তারা শ্মশানের ছাই, মলমূত্র খায় এবং দূষিত পরিবেশে বসবাস করে যা সাধারণত মানুষের মূল্যবান জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। হিন্দু ধর্মের ভিতরে এরকম জঘন্য কুসংস্কার ঢুকিয়ে সাধারণ হিন্দুদেরকে বিভ্রান্ত করছে এই নাগা বাবারা।
শুধু তাই নয়, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা এগুলোকে “আধ্যাত্মিকতা” বলে চালিয়ে দিলেও প্রকৃতপক্ষে এটি মানবতার চরম অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়। এই কাজের মাধ্যমে তারা সাধারণ হিন্দুদের ক্ষতির পাশাপাশি তাদেরকে হিন্দুত্ববাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে তারা মুসলিমদের নির্যাতন চালাতেও দ্বিধাবোধ করছে না।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে নাগা সাধুদের ক্ষতিকর প্রভাব
১. মৃতদেহ ভক্ষণ প্রিয়ন রোগ (CJD) ও মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণ।
২. রক্তপান HIV, হেপাটাইটিস-বি/সি এর মতো রক্তবাহিত রোগ ছড়ায়।
৩. গাঁজা-ভাং সেবন মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি করে এবং মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে।
ইসলাম আমাদেরকে সকলপ্রকার কুসংস্কার, অশ্লীলতা ও অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকতে বলে। এছাড়াও পবিত্র খাদ্য, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সুস্থ সামাজিক রীতিনীতি চর্চার নির্দেশ দেয়। নাগা সাধুদের মতো বিকৃত আচরণ ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন,
إِنَّمَا يَأْمُرُكُم بِالسُّوءِ وَالْفَحْشَاءِ وَأَن تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
“শয়তান তো তোমাদেরকে মন্দ ও অশ্লীল কাজের আদেশ দেয় এবং আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কথা বলতে বলে, যা তোমরা জান না।” (সূরা আল-বাকারা, ২:১৬৯)
আল্লাহ আরো বলেন,
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ
“তোমরা নিজেদের হাতে ধ্বংস ডেকে এনো না।” (সূরা আল-বাকারা, ২:১৯৫)
নাগা সাধুদের অপকর্ম উগ্রহিন্দুত্ববাদের আসল চেহারা প্রকাশ করে দিয়েছে। তাদের এই জঘন্য অপকর্ম যদি থামানো না যায়, তাহলে উগ্র হিন্দুত্ববাদের এই ভয়াল থাবা আমাদের দরজায় কড়া নাড়বে। হিন্দুত্ববাদের হিংস্রতা সমাজের সকল মানুষের উপর নারকীয় তান্ডব চালাবে। ফলে সমাজব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। তারা মুসলিমদের ক্ষতি করার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মানুষদেরও ক্ষতি করবে।
তাই সাধারণ হিন্দুদের উচিত নিজেদেরকে এসকল জঘন্য কুসংস্কার থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা। সেইসাথে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণ করা।