ইসলাম ইনসাইট

বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপান্তরের নতুন কৌশলে হিন্দুত্ববাদী ভারত

 

ঢাকার মিটফোর্ডে সংঘটিত বীভৎস হত্যাকাণ্ড জাতিকে ব্যাপক ভাবে নাড়া দিয়েছে। একজন ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে, কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা শুধু হত্যা করেই থেমে থাকেনি, তার নিথর দেহের উপর দাঁড়িয়ে ভয়াবহ উন্মত্ততা প্রকাশ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের পরেও লাশের ওপর মারধর চলতে থাকে, বুকের ওপর লাফানো হয়। এটি শুধুমাত্র একটি হত্যাকাণ্ড ছিল না বরং এটি ছিল গভীর চক্রান্তের অংশ।

এই নৃশংসতার মূলেও আমরা অপু দাস নামে একটি নাম বারবার দেখতে পাচ্ছি। আমরা যদি ৫ আগস্ট পরবর্তী অধিকাংশ ঘটনার বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখতে পাবো, প্রায় প্রতিটি নির্মম ঘটনার পেছনে অপু দাসের মতো অসংখ্য “দাস”দের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

অর্থাৎ এটি নিছক কোনো ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল না বরং এটি ছিল পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যেখানে প্রতিবেশী হিন্দুত্ববাদী ভারত এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরাসরি জড়িত। দেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য তারা এই ধরনের নৃশংসতা চালাচ্ছে। যাদের মূল লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করে আবারো নিজেদের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে এমন ষড়যন্ত্র মূলক ঘটনা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ঘটেই যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোহাগ হত্যার ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা এক ষড়যন্ত্র। তা না হলে, নিছক ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে এমন নৃশংসতা, হত্যার পরে মৃতদেহের ওপর লাফানো এমন ঘটনা হওয়ার কথা নয়। এটি মূলত দেশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে বিষিয়ে তোলার জন্য একটি পরিকল্পিত প্রয়াস।

তাদের আসল লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে আবারো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা, যাতে তারা নিজেদের ক্ষমতা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

তারা দেশের ইতিবাচক শক্তিকে অসম্মান এবং দেশের মানুষকে ফুঁসিয়ে তুলতে চায়, যাতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যায় তাই দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য নষ্ট করার জন্য তারা নানা কৌশলে এসব ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এখন জেগে উঠেছে। তারা জানে এটি তাদের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষার লড়াই।

তাই আমরা সকলকে জানিয়ে দিতে চাই এই ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তাওহিদী জনতার লড়াই চলবে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার সকল প্রয়াস রুখে দেওয়া হবে এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ও দিল্লির তাবেদারী এই দেশে আর কখনো বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore