ইসলাম ইনসাইট

চীনা “পুনর্বাসন” কেন্দ্রের আড়ালে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন

চীনের তথাকথিত কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের এক নতুন প্রমাণ সামনে এসেছে। চীনা সামাজিক মাধ্যম থেকে ফাঁস হওয়া ছবিগুলো আবারও চীনের বর্বর আচরণের চিত্র উন্মোচন করেছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উইঘুর মুসলিম বন্দীদের খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।

খাঁচাগুলো লোহার দণ্ড দিয়ে ঘেরা, যেখানে অত্যন্ত সীমিত জায়গায় বন্দীদের রাখা হয়েছে, বের হতে দেয়া হচ্ছে না, কারো সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না এভাবেই দিনের পর দিন ফেলে রাখা হচ্ছে নিরীহ উইঘুর মুসলিমদের। এই পরিবেশ কারাগারের থেকেও অনেক বেশি নিষ্ঠুর, যা শুধুমাত্র মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং চীনের নির্মম দমননীতি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষের বাস্তব প্রমাণ।

এটি স্পষ্ট যে, চীন এই বন্দি শিবিরগুলোকে “পুনর্বাসন কেন্দ্র” হিসেবে প্রচার করলেও, তা আসলে দমন-পীড়ন এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্থান, যা অত্যন্ত অমানবিক। বিশেষজ্ঞরা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই শিবিরগুলোকে ‘পুনর্বাসন’ নয় বরং এক ধরনের “ব্রেনওয়াশিং ক্যাম্প” হিসেবে চিহ্নিত করছেন, যেখানে চীনা সরকার মুসলিমদের সংস্কৃতি, ভাষা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই শিবিরগুলোতে বন্দীদের ওপর চলমান নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রম, গর্ভপাত, ধর্মীয় নিপীড়ন এবং মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। বন্দি শিবিরগুলোর আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার উইঘুর মুসলিমদের থেকে তাদের সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং পরিচয় মুছে ফেলা।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore