হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম (হাফি.) মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকির জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী নেতানিয়াহুকে দায়ী করেছেন।
নাঈম (হাফি.) বলেন, ট্রাম্পের এই বার্তা মূলত নেতানিয়াহু ও তার সরকারের প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ। আমরা মনে করি, ইসরাইল কথিত আলোচনার মাধ্যমে কেবল তাদের রাজনৈতিক ও আদর্শিক এজেন্ডা এগিয়ে নিচ্ছে।
হামাস নেতা জোর দিয়ে বলেন যে গাজায় সন্ত্রাসী ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধে দলটি সবসময় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে ছিল এবং বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়েছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত এই প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ করেছে।
নাঈম (হাফি.) উল্লেখ করেন, হামাস জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৭৩৫ এবং ২০২৪ সালের ২ জুলাই স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই চুক্তি যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দীদের মুক্তি সংক্রান্ত একটি কাঠামো নির্ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, এই গণহত্যার শুরু থেকেই হামাস শান্তি ও একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এই উদ্যোগগুলো ভেস্তে দিচ্ছে।
ট্রাম্পের নরক সৃষ্টির হুমকি:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার গাজায় আটক বন্দীদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারির আগে যদি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে নরক সৃষ্টি হবে এবং যারা মানবতার বিরুদ্ধে এসব অপরাধ করেছে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের শিকার হতে হবে।
হামাস এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসী ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে,তোমরা যদি এই বেপরোয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তাহলে হয়তো তোমাদের বন্দীদের চিরতরে হারাবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নাও যতক্ষণ সময় আছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছে, যুদ্ধ চলবে যতক্ষণ না হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা যায়। অন্যদিকে, হামাস গাজা থেকে ইসরাইলি প্রত্যাহার ছাড়া বন্দীদের মুক্তির শর্ত মানতে নারাজ।
এ পর্যন্ত হামাসের হাতে থাকা ৩৩ জন বন্দী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হামাস এ মৃত্যুর জন্য সন্ত্রাসী ইসরাইলের হামলা ও নেতানিয়াহুর সরকারকে দায়ী করেছে।