দেইর এজ-জোর সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, বর্তমানে নতুন লড়াইয়ের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এটি সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চলের সংযোগস্থল এবং তুরস্ক থেকে উপসাগর পর্যন্ত ইউফ্রেটিস নদীর প্রধান রুটে অবস্থিত।
এই অঞ্চলে সিরিয়ার ৭০% তেলের মজুদ এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এই সম্পদ সরবরাহে দেইর এজ-জোর আল-হাসাকা ও হোমসের মতো অঞ্চলগুলোর সঙ্গে পাইপলাইনের মাধ্যমে যুক্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দিদের কাছ থেকে এই অঞ্চল দখল করেছে সিরিয়ান মুজাহিদীনগণ। এতে যুক্তরাষ্ট্র, এসডিএফ (সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস), এবং নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার-সমর্থিত মুজাহিদীনদের মাঝে লড়াইর সম্ভাবনা বেড়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ড. লরেঞ্জো ট্রোমবেটা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি মিত্রদের ত্যাগ করে ইউফ্রেটিস নদীর আরব উপজাতিদের সমর্থন দিতে পারে। তবে তাদের মূল লক্ষ্য আল-ওমর তেলক্ষেত্র, কনোকো গ্যাস প্লান্ট এবং ইউফ্রেটিসের পূর্ব তীরে নিজেদের সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করা।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, দেইর এজ-জোরে স্বল্প ও মধ্যম-মেয়াদী লড়াই হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদী লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।
দেইর এজ-জোর এখন শুধুমাত্র একটি অঞ্চল নয়, বরং শক্তির কেন্দ্রবিন্দু। এর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, সেটিই ঠিক করবে সিরিয়ার ভবিষ্যতের রাজনীতি ও অর্থনীতি।