আরাকান রাজ্যের মংডুতে সন্ত্রাসী আরাকান সেনাবাহিনী (এএ) রোহিঙ্গাদের উপর সম্পূর্ণ অবরোধ জারি করেছে। এর ফলে গর্ভবতী নারী, শিশু ও জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনীয় রোগীরা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। ২৪ সেপ্টেম্বর এএ’র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গ্রামপ্রধানদের জানায় “কোনও ব্যক্তিকে, এমনকি অসুস্থ বা গর্ভবতী মহিলাকেও, চিকিৎসার জন্য নিজেদের এরিয়ার বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।”
অন্যদিকে মংডুর হাসপাতালগুলো কার্যত ভেঙে পড়েছে। দুটি হাসপাতালের জন্য আছেন মাত্র একজন ডাক্তার, প্রয়োজনীয় ওষুধ ফুরিয়ে গেছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। এছাড়া সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির ইশারায় কেমিংঝং হাসপাতাল রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করছে, আর মংডু হাসপাতাল জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণ অক্ষম।
এইসব অবৈধ নিয়ম-নীতির পাশাপাশি সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর দখল করছে, জিনিসপত্র লুট করছে, চলাচলে চেকপয়েন্ট বসাচ্ছে, এমনকি সেতু পারাপারে ফি চাপিয়ে রোহিঙ্গাদের জীবনকে একেবারে দুর্বিষহ করে তুলছে। আর বর্তমানে তো চিকিৎসা সেবা নিষিদ্ধ করে তারা সরাসরি জাতিগত নির্মূল অভিযানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অস্ত্রে পরিণত করেছে। এটি এক মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, আর বৈশ্বিক নীরবতা কেবল এই নৃশংসতাকে আরো উসকে দিচ্ছে।