২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ভয়াবহ ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর সোমবার আদালতে জানান, পুলিশের সদর দফতরের ২১৫ পৃষ্ঠার এক সরকারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেখা যায় এলএমজি, এসএমজি, চাইনিজ রাইফেল, শটগান, রিভলভার ও পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র থেকে ঢাকায় ৯৫,৩১৩ রাউন্ড এবং সারা দেশে ৩,০৫,৩১১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল।
আদালতে ভিডিও, তথ্যচিত্র, প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি ও শহীদদের তালিকা উপস্থাপন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, খুনি হাসিনা, আওয়ামী সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে। তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় যেখানে দেড় হাজারেরও বেশি নিহত, হাজারো আহত, আটক, নির্যাতন, অপহরণ ও যৌন নিপীড়ন সংঘটিত হয়।
প্রথম শহীদ আবু সাঈদের সহপাঠীরা ট্রাইব্যুনালে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানান, তাকে বুক বরাবর গুলি করে হত্যা করা হয়। একই দিনে আদালতে যমুনা টিভি, বিবিসি ও আলজাজিরার চারটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া কুষ্টিয়ায় ছয়জন হত্যার ঘটনায় আওয়ামী দোসর হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি ১৪ অক্টোবর ধার্য হয়েছে। উত্তরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নিষিদ্ব আওয়ামী লীগ নেতাকে হাজিরের নির্দেশ করার ঘটনায় তিন পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।