ইসরায়েলি চ্যানেল ১২-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতার প্রায় ৮০ শতাংশ ধ্বংস করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ৩৫০টি যুদ্ধবিমান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীর ৩২০টি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এ অভিযানকে ‘সাহেম ফাসান’ নাম দেওয়া হয়েছে, যা দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার ঐতিহাসিক একটি এলাকার নাম।
ইসরায়েলের এই হামলায় বিশেষ করে সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সামরিক বিমান, ভূগর্ভস্থ স্থাপনা, নৌযান, রাডার, ট্যাংক এবং ক্ষেপণাস্ত্রের গুদামসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হামলায় ক্রুজ মিসাইল ও ভূমি-সমুদ্র মিসাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামগুলোকে টার্গেট করা হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই দিনে ইসরায়েলের ইতিহাসের বৃহত্তম বিমান হামলা পরিচালনা করা হয়েছে সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোর ওপর।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলের নৌবাহিনী লাতাকিয়া ও ত্রিপোলি বন্দরে সিরিয়ার নৌবাহিনীর ওপর একাধিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়ার নৌসক্ষমতা শত্রুপক্ষের হাতে যাওয়ার আগেই ধ্বংস করে ফেলা।
সোমবার সন্ধ্যায় সিরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী দামেশক এবং এর আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সুমারিয়া, কোর্নিশ, মাশিরফা, রাস শামরা এবং আইন মুনিন এলাকাগুলোতে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর গুদাম লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা হয়।
ইসরায়েলি হামলার ফলে সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সিরিয়ার পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।