ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, সিরিয়ার ঘটনাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একটি অপারেশন কক্ষে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। বুধবার এক বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, তার কাছে এই বিষয়ে ‘অবিসংবাদিত প্রমাণ’ রয়েছে। তবে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
তিনি সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী দেশকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, দেশটি বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনও এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি দেশটির নাম উল্লেখ করেননি।
খামেনি বলেন, ‘প্রতিরোধ আন্দোলন যত বাধার সম্মুখীন হবে, ততই এটি শক্তিশালী হবে এবং পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। যারা মনে করে প্রতিরোধ আন্দোলন দুর্বল হলে ইরানও দুর্বল হয়ে পড়বে, তারা ভুল ধারণা পোষণ করছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি সংসদের এক গোপন বৈঠকে বলেন, ‘আসাদের পতনে ইরান দুর্বল হয়নি।’ তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের শাসনের পতন এখনো ইরানের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
আসাদের পতনের পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিরিয়ায় একটি জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানায়। মন্ত্রণালয়ের মতে, এই সংলাপের মাধ্যমে এমন একটি সরকার গঠন করা উচিত, যা সব পক্ষকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এ বিষয়ে ইরানের মুখপাত্র ফাতিমা মহাজেরানি বলেন, ‘সিরিয়ার জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নির্ধারণ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরান এবং রাশিয়া বাশার আল-আসাদের সরকারকে সামরিক, মানবশক্তি ও বিমান হামলার মাধ্যমে সমর্থন দিয়ে আসছে।
সূত্র : আল জাজিরা