গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার গাজার তথ্য অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উক্ত হামলায় ৮৪ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ বা আহত হয়েছেন। নিহত ও আহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
তথ্য অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি বাহিনী নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্যবস্তুতে করে হামলা করেছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ভবনে বসবাসকারী অসংখ্য বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘এই হামলায় ৩৩ জন শহিদ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শেখ আলী পরিবারভুক্ত। ৮৪ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ বা আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ।’
তথ্য অফিসের দাবি, ‘ইসরায়েলি বাহিনী জানত, এই আবাসিক এলাকায় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুর অবস্থান। তাদেরকে আগেই বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে এখানে আসতে বাধ্য করা হয়েছিল।’
এদিকে আল-আউদা হাসপাতাল জানায়, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় প্রাথমিকভাবে ২১ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছিলেন। পরে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দখলদার বাহিনীর চালানো হামলায় গাজায় ৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ জনই মধ্য ও দক্ষিণ গাজার বাসিন্দা।
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১১ হাজারের বেশি মানুষ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও ইসরায়েল তা উপেক্ষা করে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র : টিআরটি অ্যারাবিক