ইসলাম ইনসাইট

সুদানে বিদেশী সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক, বাড়ছে বিভাজনের শঙ্কা

সুদানে বিদেশী সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক, বাড়ছে বিভাজনের শঙ্কা
সুদানে বিদেশী সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক, বাড়ছে বিভাজনের শঙ্কা। ছবি : আনাদোলু

সুদানে বিদেশী বা সমান্তরাল সরকার গঠনের প্রস্তাব ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে গণতান্ত্রিক বেসামরিক সমন্বয় কমিটি ‘তাকাদ্দুম’ সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করে। তবে দলটির ভেতরেই এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

সমন্বয়ের প্রধান দলগুলোর একটি উম্মাহ পার্টি এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছে, এটি সুদানের জন্য বিপজ্জনক এবং দেশকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেবে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও মেরুকরণ করবে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী পাঁচটি রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখলেও আরএসএফ বেশ কিছু রাজ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে।

বিদেশী সরকার গঠনের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মার্কিন দূত টম পেরিলো একে সুদানের ঐক্য ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি দেশভাগের সূচনা ঘটাতে পারে। এর আগে ২০১১ সালে দক্ষিণ সুদান আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করেছিল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আরএসএফ এ প্রস্তাবের মাধ্যমে রাজনৈতিক বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছে। বিশ্লেষক ওসমান ফজলুল্লাহ মনে করেন, এটি আরএসএফের বন্দুকের শক্তি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে। সাবেক মন্ত্রী ফয়সাল মোহাম্মদ সালেহ একে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিদেশী সরকার গঠিত হলে তা সরাসরি দেশের বিভাজন ঘটাবে।

সুদানের সাংবাদিক ইউনিয়নও এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, বিদেশী সরকার গঠিত হলে সংঘাত আরও বেড়ে গিয়ে দেশকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে।

সুদানের এ পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore