গাজায় বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান। ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আটক ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনা এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। তবে এটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নিশ্চিত নন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্ক সফরে এ বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন। শুক্রবার আঙ্কারা সফরকালে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির পথে ‘উৎসাহজনক অগ্রগতি’ হয়েছে। তুরস্ককে হামাসের ওপর প্রভাব খাটিয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতস জানিয়েছেন, গাজায় আটক ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তির বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানায়, গাজায় আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা জেরুজালেমে মন্ত্রী রন ডেরমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা দ্রুত বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্নের দাবি জানান।
এদিকে ইসরায়েলের জনগণের মধ্যে এ ইস্যুতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। চ্যানেল ১৩ পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬৫ শতাংশ ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। ২৫ শতাংশ বিরোধিতা করেছেন, ১০ শতাংশ সিদ্ধান্তহীন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করতে ইসরায়েলি সরকার কতটা ছাড় দেবে, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা