মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইয়েমেনের হুদাইদা প্রদেশ। ইরান-সমর্থিত আনসারুল্লাহ (হুথি) গোষ্ঠীর সূত্রে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের বিরতির পর লোহিত সাগরসংলগ্ন হুদাইদার তুহাইতা এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
হুথি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন আল-মাসিরা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ হামলা মার্কিন ও ব্রিটিশ যৌথ অভিযান হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। তবে হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটন ও লন্ডন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর থেকে ইয়েমেনে মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলা বন্ধ ছিল। তবে নতুন করে এই হামলা শুরু হলো। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হুদাইদা প্রদেশে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তিনটি প্রধান বন্দর, সামরিক ঘাঁটি এবং দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকা।
সম্প্রতি হুথি গোষ্ঠী লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি বা ইসরায়েল-সম্পর্কিত পণ্যবাহী জাহাজের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে। পাশাপাশি ইসরায়েলেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে হুথিরা, যার মধ্যে কয়েকটি হামলা তেল আবিব পর্যন্ত পৌঁছেছে।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের শুরু থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে হুথি গোষ্ঠীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। মার্কিন জোট দাবি করেছে, এসব হামলা মূলত হুথি গোষ্ঠীর সামুদ্রিক জাহাজে আক্রমণের প্রতিশোধ। তবে হুথি গোষ্ঠী পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সরাসরি হস্তক্ষেপের পর জানুয়ারিতে হুথিরা ঘোষণা দেয়, তারা মার্কিন ও ব্রিটিশ— সব ধরনের জাহাজকে সামরিক টার্গেট হিসেবে বিবেচনা করবে।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে হুথি গোষ্ঠী সামরিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বিশ্বজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে হুদাইদায় এই হামলা সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: আল জাজিরা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা