গাজা উপত্যকায় সামরিক শক্তি পুনর্গঠনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়ালা জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে হামাস তাদের সামরিক শাখায় কয়েক হাজর নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, নতুন যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের কৌশল শেখানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা অভিজ্ঞ নেতাদের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই নেতারা এমন যোদ্ধা—যাদের ইসরায়েল এখনও হত্যা বা আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতিরক্ষামূলক লাইন তৈরি করছে হামাস। বিশেষ করে দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওর সামরিক প্রতিবেদক দোরোন কাদোশ একাধিক টুইটে জানিয়েছেন, হামাস সামরিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনর্গঠনে সক্রিয়। নতুন যোদ্ধা নিয়োগের মাধ্যমে তারা পুরনো ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করছে।
ইসরায়েলি এক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার বরাতে তিনি আরও জানান, হামাসের সামরিক ইউনিটগুলো দ্রুত পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং গাজার সর্বত্র নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন বোমা হামলা, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং জনবসতিতে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে মার্কিন সমর্থনে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এ পর্যন্ত হামলায় ১ লাখ ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রায় ১১ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। খাদ্য সংকট ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে।
সূত্র: আলজাজিরা ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম