ইসলাম ইনসাইট

সিরিয়ায় ২০০০ মার্কিন সেনার উপস্থিতি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় ২০০০ মার্কিন সেনার উপস্থিতি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ায় ২০০০ মার্কিন সেনার উপস্থিতি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : আনাদােলু

সিরিয়ায় ২০০০ সেনা মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগে দেশটি সিরিয়ায় তাদের সেনাসংখ্যা ৯০০ বলে উল্লেখ করেছিল।

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার গত বৃহস্পতিবার জানান, অতিরিক্ত সেনা সাময়িকভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে মূল সেনাসংখ্যা ৯০০-তেই থাকবে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক প্রয়োজন বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বর্তমানে সিরিয়ায় মোতায়েন থাকা সেনারা আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে কাজ করছে।

আইএস নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত এসডিএফ এবং এফএসএর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মার্কিন সেনারা মোতায়েন রয়েছে। সম্প্রতি এফএসএর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সম্প্রসারণ ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র আইএস নির্মূলের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই সেনা উপস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে।

এসডিএফ ও এফএসএর সঙ্গে সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক সহায়তা, আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিমান হামলা পরিচালনার মাধ্যমে সহায়তা করছে।

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি
জুসুর স্টাডিজ সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক জোটের ৩২টি সামরিক অবস্থান রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ঘাঁটি এবং ১৫টি সামরিক অবস্থান। হাসাকা, দেইর আল-জোর ও রাক্কায় বেশিরভাগ ঘাঁটি অবস্থিত।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘাঁটিগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সেনারা মোতায়েন রয়েছে। সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জোটের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ‘অপারেশন ইনহারেন্ট রিজলভ’-এর অধীনে।

রাশিয়ার উপস্থিতি
সিরিয়ায় রাশিয়ারও উল্লেখযোগ্য সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে লাতাকিয়ার হেমেইম ঘাঁটি এবং টার্টাসে একটি ঘাঁটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore