ইয়েমেনে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’র হয়ে কাজ করা একাধিক গুপ্তচরকে আটক করার দাবি করেছে হুতি বিদ্রোহীরা।
বুধবার হুতিদের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার হুতিদের নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সম্প্রতি তাদের নিরাপত্তা বাহিনী একাধিক গুপ্তচরকে আটক করেছে। এসব গুপ্তচর হামিদ হুসেইন ফায়েদ মজলির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিল।
হুতিদের বিবৃতিতে বলা হয়, আটককৃত গুপ্তচরদের কাজ ছিল রকেট, ড্রোন লঞ্চার, সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। পাশাপাশি হুতি নেতা আবদুল মালিক আল হুতি এবং রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তাসংশংলিষ্ট ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত করে হামিদের মাধ্যমে মোসাদে পাঠানো ছিল তাদের দায়িত্ব।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এসব তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিমান হামলার পরিকল্পনা করা হতো।
হুতিরা দাবি করেছে, গুপ্তচরদের আরও দায়িত্ব ছিল তাদের সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এজেন্ট নিয়োগ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করা।
তারা অভিযোগ করেছে, এসব গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্য ছিল ইয়েমেনি জনগণের গাজা সমর্থনের অবস্থানকে বাধাগ্রস্ত করা এবং তাদের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করা।
হুতিরা সতর্ক করে বলেছে, মার্কিন ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে এবং গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রেড সি অঞ্চলে ইসরায়েলি বা সংশ্লিষ্ট জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে হুতি বিদ্রোহীরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এই হামলার জবাবে ২০২৪ সালের শুরু থেকে ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। জবাবে হুতিরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সব জাহাজকে সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং তাদের অস্ত্রের আওতায় থাকা যেকোনো স্থানে হামলার হুমকি দিয়েছে।
এছাড়া, হুতিরা ইসরায়েলে নিয়মিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ না হলে এসব হামলা বন্ধ হবে না।
সূত্র : আনাদোলো