নদী শাসনের আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হিন্দুত্ববাদী ভারত বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীতে ৩৬০০টিরও বেশি বাঁধ তৈরি করেছে। যা তাদের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।
ভারতের এই নদী আগ্রাসনের ফলে বাংলাদেশের অনেকগুলো নদী শুকিয়ে গেছে বহু আগেই। বাকিগুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। যার প্রভাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি মরুভূমি হওয়ার দারপ্রান্তে।
বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি নদীর উৎস ভারতে। অবাক করা ব্যাপার হলো – হিন্দুত্ববাদী ভারত গুরুত্বপূর্ণ এই ৫৪টি নদীর প্রত্যেকটি নদীতেই অসংখ্য বাঁধ, পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প ও রিজার্ভারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে বাংলাদেশের দিকে আসা পানির প্রবাহ আটকে রেখেছে।
নদীগুলোর আটকে রাখা এই পানির প্রবাহকে ভারত যেমন নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, তেমনি আবার বাংলাদেশকে পাওনা পানি না দিয়ে চরমভাবে শোষণ করছে। একদিকে তারা শুষ্ক মওসুমে বাংলাদেশের নদীগুলোতে যথেষ্ট পানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আবার বর্ষা মওসুমে অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করিয়ে আমাদের দেশেকে তারা বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে।
ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – গঙ্গা, ইছামতি-কালিন্দী, রায়মঙ্গল, বেতনা-কোদালিয়া, ভৈরব-কপোতাক্ষ, মাথাভাঙ্গা, পাগলা, আত্রাই, পুনর্ভবা, তেঁতুলিয়া, টাঙন, কুলিক বা কোকিলা, মুহরী, ফেনী ও কর্ণফুলীসহ আরো অনেকগুলি।
হিন্দুত্ববাদী ভারত বাংলাদেশকে সবদিক থেকে ঘিরে রেখে নিজের সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে সেই ১৯৭১ সালের পর থেকেই। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশর এতবড় ক্ষতি হওয়ার পরও তথাকথিত সুশীল ও চেতনাধারীরা এই কথা বলেই বার বার ফেনা তুলেন যে – “ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না”।
এটাকে কি আসলেই সাহায্য বলে? নাকি স্বাধীন হওয়া বলে? কেন এই দেশটি গত ৫৩ বছর ধরে নিজেদের সবকিছু দিয়েও একটি তথাকথিত সাহায্যের ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না?