সময়টি ছিল হিজরী সপ্তম শতাব্দীর শুরুর দিকের। পৃথিবীতে এক নতুন বিশ্বশক্তির নীরব উত্থান ঘটতে যাচ্ছে। যারা নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো পৃথিবীবাসীকে এবং মানুষ হত্যা করা যাদের কাছে ছিল নিছল খেলা। যারা পরবর্তীতে তাতারী নামে কুখ্যাতি লাভ করেছিল।
যদিও তৎকালীন সময় পৃথিবীতে ছিল কেবল দুটি পরাশক্তি। একদিকে ছিল বিশ্বব্যাপী বিজয়ী হিসেবে ছড়িয়ে পড়া মুসলিমশক্তি আর অপরটি ছিল পরাজিত ও ক্ষয়িষ্ণু খ্রিষ্টানদের সম্মিলিত ক্রুসেড শক্তি।
পৃথিবীতে এমন দুটি পরাশক্তির অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও, কিভাবে তাতারিদের এমন উত্থান ঘটেছিল? কি এমন বৈশিষ্ট্য তাদের মতো একটি অপরিচিত ও ক্ষুদ্র জাতিকে পৃথিবীর পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছিল? তা ছিল তাদের ধারাবাহিক যোগ্য নেতৃত্ব।
চেঙ্গিস খান! যার নাম ইসলামি ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে স্মরণ করা হয়। যিনি ছিল একাধারে তাতারীদের রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান। তিনি ছিলেন একজন চৌকশ সেনাপ্রধান। যুদ্ধ কৌশলে তার কোন জুরি ছিল না। মঙ্গোলিয়ার এমন ছোট একটি বাহিনীকে পৃথিবীর পরাশক্তিতে রূপান্তর করা একমাত্র চেঙ্গিস খানকে দিয়েই সম্ভব ছিল।
তার নিপুণ সমরদক্ষতা, রণকৌশল, কুটকৌশল, যুদ্ধকালীন রাজনীতি, শত্রুর দুর্বলতাকে নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করার যোগ্যতা, এবং সে অনুযায়ী যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়াই চেঙ্গিস খানকে করেছিল তৎকালীন পৃথিবীর অন্যতম বিজয়ী জেনারেল।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চেঙ্গিস খান যত বড়ই দক্ষ সমরবিদ হোক না কেন। এতো ছোট একটি বাহিনী নিয়ে মুসলিমদের এমন বড় বড় সাম্রাজ্য ও সুবিশাল বাহিনীকে কিভাবে সে পরাজিত করলো?
তাতারীদের বিজয়ের পেছনে কি তাহলে শুধুই দক্ষ রণকৌশল ছিল? নাকি তৎকালীন সময়ে মুসলমানদেরও এমন কিছু ভুল ছিল? যেই ভুলের মাশুল আমাদের প্রিয় খিলাফাতকে বিসর্জন দিয়েই দিতে হয়েছিল?
চলুন তাহলে, ইতিহাসের সেই পাতাগুলো থেকে ঘুরে ঘুরে দেখি। এমন কি রহস্য ছিল, যা তাতারীদের গড়ে তুলেছিল পৃথিবীর পরাশক্তি ও বিজয়ীশক্তি হিসেবে। পাশাপাশি মুসলমানদের এমন কি ভুল ছিল, যার ফলে তাদেরকে পরাশক্তি ও বিজয়ীশক্তি থেকে পরাজিত শক্তিতে রূপান্তরিত করেছিল।
আশা করি ইতিহাসের এই সফরে আপনারা ইসলাম ইনসাইটের সাথেই থাকবেন…