আবু সাঈদ এর মতো হাজারো ধর্মপ্রাণ ও আল্লাহ ভীরু শহীদদের রক্ত সাগর পেরিয়ে আমরা পেয়েছি আজকের বাংলাদেশ। তবে চরম আক্ষেপের ব্যাপার হল – ধর্মপ্রাণ ছাত্র জনতার রক্তের উপর গঠিত হওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশ কিছু উপদেষ্টা ও কর্তাব্যক্তিরা হলেন চরম ইসলামবিদ্বেষী আল্ট্রা এক্সট্রিম সেক্যুলার, যারা মনেপ্রাণে ইসলামকে ঘৃণা করার পাশাপাশি এদেশের গণমানুষ ও রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে ইসলামকে নির্মূল করে দিতে চায়।
আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, বর্তমান সরকারে থাকা এই ইসলামবিদ্বেষী সেকুলারগোষ্ঠী এদেশে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী ও পশ্চিমাদের নষ্ট দর্শন ও সংস্কৃতির পাশাপাশি পতিত স্বৈরাচারের দোসরদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে বেশ তৎপর।
প্রিয় দেশবাসী, বিগত ১৫ বছরে ফেরাউনী সিস্টেম কায়েম করে মহা জালিম হয়ে ওঠা স্বৈরাচার ও তার সহযোগীরা চেয়েছিল এদেশ থেকে ইসলামের শিক্ষা, দর্শন ও অনুশাসনকে পুরোপুরি মিটিয়ে দিতে। সেই মহা জালিম ও তার দোসরদের রুখে দিতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল এদেশের অকুতোভয় ছাত্র জনতা। যাদের প্রায় সকলেই ধর্মপ্রাণ মুসলিম, যারা ভালবাসে আল্লাহ্ ও তার রাসূলের আনুগত্য করতে।
সেই হাজারো ধর্মপ্রাণ শহীদ ও অগণিত আহতদের রক্তের উপর দাঁড়িয়েই কিনা এই ইসলামবিদ্বেষী সেকুলারগোষ্ঠী এদেশের মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই শয়তানি ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়ার উপযুক্ত সময় এখনই। জেগে উঠুন হে প্রিয় মুসলিম, ইসলামের শিকড় উপড়ে ফেলতে চাওয়া নিকৃষ্ট কালো হাতগুলো গুঁড়িয়ে দিতে জেগে উঠুন নতুন করে।