গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার, রাজনীতি এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শুনতে বেশ সুন্দর লাগা এমন চকচকে লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ শুরু করা এই বেসরকারি এনজিও সংস্থাটির রয়েছে আরেকটি ভয়ংকর রূপ, যা ষড়যন্ত্র ও চতুরতায় ভরপুর।
টিআইবি মূলত জায়নবাদী ও হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা পরিচালিত একটি বিশেষ প্রোগ্রাম, যা বছরের পর বছর বিভিন্ন নীতিবাক্য ও তথাকথিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আসছে। তারা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের চিন্তা ও চেতনায় ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী ও পশ্চিমা ক্রুসেডারদের কলুষিত মতাদর্শকে পুশ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমরা দেখেছি এই টিআইবি-কে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করা বাদ দিয়ে তারা ইসলামবিদ্বেষী সেকুলারদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে। আমরা আরো দেখেছি, তারা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের মৌলবাদী অভিহিত করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। অথচ আজকের এই নতুন বাংলাদেশ হাজারো মুসলিম ছাত্র জনতার রক্তে অর্জিত হয়েছে, যে রক্ত সাগরের মহা ঢেউয়ে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছিল ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের আস্তানা। আমরা দেখতে পাছি, টিআইবি আজ সেই পতিত স্বৈরাচারের ভাঙ্গা আস্তানাকে জোড়া লাগানোর জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রিয় দেশবাসী, বর্তমানে আমরা এক মহাযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছি। মুসলিমদের কাছে তাদের জীবনের চেয়েও বেশি মূল্যবান হলো তাদের ঈমান। আমাদের সেই ঈমানকে কুলষিত করার জন্যেই টিআইবিসহ আরো অনেক এনজিও বছরের পর বছর ধরে এদেশে কাজ করে যাচ্ছে। এই সকল এনজিও গুলো নিজেদের সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে তাদের ইসলামবিদ্বেষী ভ্রান্ত মতবাদগুলোকে এদেশের মুসলিমদের পরবর্তী প্রজন্মকে ধর্মহীন করে গড়ে তুলতে। তাই আসুন, শয়তানের এই দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিটি ঘরকে ইসলামের দূর্গরূপে গড়ে তুলি।