শহীদ আবরার ফাহাদের নাম শুনলেই চেহারায় ভেসে উঠে এমন এক মহান ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি, যিনি একসাথে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের পক্ষে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এক বিপ্লবী সৈনিক। এই বিপ্লবী সৈনিককে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখাতে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা ও ইসকনের সদস্য অনিক সরকারের ইন্ধনে ভারতের দোসর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে শহীদ করে।
তার শাহাদাত এদেশের মানুষের মনে অনেক বিশাল প্রভাব ফেলে। ঘুমন্ত বাঙালী মুসলিম জেগে উঠে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। সেই ধারাবাহিতকার রুপ আমরা আজ চব্বিশের স্বাধীন দেশে দেখতে পাচ্ছি। আবরার ফাহাদের প্রতিবাদ ও শাহাদাত আমাদেরকে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রেরণা জুগিয়েছিল। আবরার ফাহাদকে অনুসরণ করে প্র্যাক্টিসিং মুসলিম শহীদ আবু সাঈদ রহঃ তার জীবন দিলেন। এভাবে আবরার ফাহাদকে অনুসরণ করে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা দেশকে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে জীবন দিল।
কিন্তু মনে রাখতে হবে,
এদেশ এখনো পুরোপুরি ভারতীয় আধিপত্যবাদমুক্ত হতে পারেনি। এখনো প্রশাসন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতে র’ এর এজেন্টরা বসে আছে। তারা নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে ভারতের দালাল আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করার প্রচেষ্টায় আছে। আজকে আওয়ামীলীগ নেই, কিন্তু তাদের কালচারাল প্রজেক্ট রয়ে গেছে, তারাই এখন নানাভাবে আবরারদের মতো প্র্যক্টিসিং মুসলিমদেরকে জঙ্গি ট্যাগ লাগাচ্ছে। এরা এখন বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং উঠবে।
আমরা আবরার ফাহাদের শাহাদাতকে বৃথা যেতে পারি না। ইসলামবিদ্বেষী শাহবাগী এবং ভারতীয় এজেন্টদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করা না পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদমুক্ত হবে না, শহীদ আবরার ফাহাদের হত্যার বদলা নেয়া হবে না।