ইসলাম ইনসাইট

পুশ ইন করেই যাচ্ছে ভারতঃ মানছে না নিজস্ব সংবিধান

ইসলাম ইনসাইট ডেস্ক

ভারত সরকারের পুশ-ইন কৌশল, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, একটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ভারত যে হাজার হাজার অভিবাসী, এমনকি নিজ দেশের বৈধ নাগরিকদেরও গোপনে বাংলাদেশের সীমান্তে মৃত্যুভয়ের মধ্যে ঠেলে পাঠিয়েছে তা শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতেও একটি গুরুতর সংকট তৈরি করেছে। বিশেষভাবে, ভারতীয় নৌবাহিনীর মাধ্যমে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের শুধু তাদের ধর্মের কারণে আন্দামান সাগরে ফেলে দিয়ে মিয়ানমারের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা ভারতের মুসলিম বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তোলে।

বিজেপি প্রশাসন নিশ্চিত যে, যেহেতু বিষয়টি মুসলিমদের ঘিরে, তাই পশ্চিমা বিশ্ব সরব হবে না। সেই নীরবতার সুযোগ নিয়ে তারা নিজ দেশের নাগরিকদের যাদের বেশিরভাগই মুসলিম জোরপূর্বক প্রতিবেশী রাষ্ট্রে পাঠিয়ে মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে চাইছে।

এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয় বরং ভারতের নিজস্ব সাংবিধানিক মূল্যবোধের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক বার্তা যার মাধ্যমে বিজেপি শাসক দল বাংলাদেশের প্রতি তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে চাইছে। ভারত জানে যে তাদের সন্ত্রাসী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মাধ্যমে এসব ঘটনা বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য যেমন বিপজ্জনক, তেমনি এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আদর্শের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। কিন্তু তারপরও তারা এমন করে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক ভারতের এই ধরনের পুশ-ইন কার্যক্রম এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য নয় বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এক গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি International Human Rights এর মারাত্মক লঙ্ঘন এবং একধরনের রাজনৈতিক ঔদ্ধত্য যা ভারতের কথিত “জাতীয় নিরাপত্তা”র ছায়ায় বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও, প্রকৃতপক্ষে তা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপে ফেলার একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore