ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য আবারও প্রমাণ করল, পশ্চিমা নেতৃত্বের মানবতার বুলি শুধু ফাঁকা বুলি। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, “যদি গাজার বন্দি জিম্মিদের ২০ জানুয়ারির আগে মুক্তি না দেওয়া হয়, তবে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।” অথচ, তিনি সন্ত্রাসী ইসরাইল কর্তৃক গাজায় চলমান গণহত্যার বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।
ইসরাইলের বর্বরতা, ট্রাম্পের নির্লজ্জ নীরবতা
গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। নিরীহ নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর চালানো এই নৃশংসতা কোনোভাবেই মানবতার পর্যায়ে পড়ে না। অথচ, ট্রাম্প এবং পশ্চিমা নেতৃত্ব ইসরাইলের এহেন কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে চলেছে। ট্রাম্পের বক্তব্যে শুধুমাত্র ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির দাবি করা হয়েছে। তিনি একবারও বলেননি, গাজায় কেন হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে গণহত্যা করা হলো?
ট্রাম্প তার Truth Social পোস্টে স্পষ্ট হুমকি দিয়েছেন, “যদি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে নজিরবিহীন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এটি ইঙ্গিত করে, তিনি কেবল সন্ত্রাসী ইসরাইলের জিম্মিদের প্রসঙ্গে কথা বলছেন, গাজার নির্যাতিত মানুষগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই তার কাছে।
পশ্চিমা মানবতাবাদীদের কাছে প্রশ্ন
– গাজায় মারা যাওয়া ৪০ হাজার মানুষ কি ট্রাম্পের চোখে মানুষ নয়?
– ইসরাইলি বোমায় ধ্বংস হওয়া হাসপাতাল, স্কুল আর মসজিদগুলো কি মানবতার অংশ নয়?
– শিশুদের কান্না, মায়ের আর্তনাদ কি পশ্চিমাদের কানে পৌঁছায় না?
মুখে মানবতার কথা, কাজে মানবতা বিরোধিতা ট্রাম্পের এই বক্তব্য পশ্চিমাদের আসল চেহারাই প্রকাশ করে। তারা মুখে মানবাধিকার, শান্তি এবং ন্যায়বিচারের কথা বলে, কিন্তু কাজে পুরোপুরি বিপরীত।
গাজা রক্ত ঝরছে, আর ট্রাম্প নির্লজ্জভাবে সন্ত্রাসী ইসরাইলকে সমর্থন করছেন।