ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বাগালকোট জেলার তোড়লাবাগি গ্রামে ২০২৩ সালের ২৫-২৯ ডিসেম্বর বিজেপি মদদপুষ্ট আরএসএস ও বজরং দলের তত্ত্বাবধানে একটি সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরে অংশ নেয় ১৮৬ জন কিশোর-তরুণ, যাদের অস্ত্র পরিচালনা এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কৌশল শেখানো হয়।
এর আগে মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যেও এ ধরনের শিবির আয়োজনের খবর পাওয়া গেছে।এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরাসরি ভারতীয় আইনের পরিপন্থী হলেও, বিজেপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এগুলো নির্বিঘ্নে পরিচালিত হচ্ছে।
সরকারি বাহিনীর অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও বেসামরিক হিন্দুদের এভাবে সশস্ত্র করার একমাত্র লক্ষ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর গণহত্যা চালানোর পূর্ব প্রস্তুতি কারণ ব্যাপক গণহত্যা চালানোর জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত বাহিনী।
অথচ উগ্র হিন্দুত্ববাদীরাই উল্টো মুসলিমদেরকে “জঙ্গি” আখ্যা দিয়ে নানান অপপ্রচারে চালায়।
বিশ্লেষকদের মতে, আরএসএস এবং বজরং দলের এই উগ্র কার্যক্রম ভারতে গণহত্যার মঞ্চ প্রস্তুত করছে। মুসলিমদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাদের ভয় দেখাতে এ ধরনের সশস্ত্র কার্যক্রম পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতি শুধু ভারতের মুসলিমদের জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্যও এক বড় হুমকি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এসব উগ্র কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া।