পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ, সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” (RAW) – এর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রুখতে আমাদের করণীয়…
বাংলাদেশে অবস্থানরত বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী, বিশেষত পার্বত্য চট্রগ্রামে বসবাসরত বৌদ্ধরা সর্বদাই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলো।
তবে ইদানিং আমরা লক্ষ্য করছি, পতিত আওয়ামী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী শক্তির প্ররোচনায় পড়ে বৌদ্ধরা বাংলাদেশ ও তার সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভূয়া নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে তুলে তাদের চীবর দান উৎসব পরিত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে।
গত ৫ই আগষ্টের পর থেকে পরাজিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী গোয়েন্দা সংস্থা RAW বাংলাদেশের সরকার, জনগন, সেনাবাহিনী ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে একের পর এক জঘন্য ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় তারা এই মূহুর্তে পাহাড়কে অশান্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তাদের এই ঘৃণ্য পরিকল্পনাগুলো হলো
১। পাহাড়ী জনগোষ্ঠী ও বাঙ্গালী মুসলিমদের মধ্যে সংঘাত ও বিভাজন তৈরি করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এটেনশান তৈরি করা এবং এই সংঘাতকে ভিন্নরূপ দেয়া।
২। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ডেকে আনা।
৩। এরপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পাহাড়কে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বর্তমানে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়ছে। সঙ্গত কারণেই তারা বাংলাদেশের উপর নিজেদের লেভারেজ তৈরির লক্ষ্যে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র, অর্থ ও ট্রেইনিং দিয়ে তাদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলছে। আরাকান আর্মি এই পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের জন্য মিয়ানমারের চীন স্টেইটের পেলাতুয়া ও আরাকানে ট্রেইনিং এর ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে। এদিকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”(RAW) বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে তোলার লক্ষ্যে ভারতের মিজোরামে UPDF, JSS সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের অফিস করে দিয়েছে।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, ২০১৭ সালে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” (RAW) – এর পরামর্শে এক ঘৃণ্য কার্ড খেলে তাহলো, একজন রোহিঙ্গা দোকানদার অপর একজন রাখাইন নারীকে ধর্ষণ করার ভূয়া গুজব ছড়িয়ে দিয়ে আরাকানে ৩৬ হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা করার পাশাপাশি ১৮ লক্ষের অধিক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছিল, সেই একই ঘৃণ্য কার্ড খেলে তারা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামকেও অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।
তাই আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ঢাকা যদি বাংলাদেশের মাথা হয়, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আমাদের হাতের ন্যায়। যদি আমরা তা রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের মুখোমুখি হবে।
আমরা মনে করি, পাহাড়কে রক্ষা করতে হলে দ্রুত আমাদের নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিৎ
১। বাঙ্গালী ও যে সকল দেশপ্রেমিক পাহাড়ী জনগোষ্ঠী আছে তাদের মাঝে সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও সম্প্রীতি তৈরির লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২। পাহাড়ের সকল সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্মিলিতভাবে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা।
৩। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ভারতের মদদে যেসকল সুশীল নামের দেশবিরোধী শক্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশবিরোধী ক্যাম্পেইন পরিচালিত করছে তাদেরকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রুখে দেওয়া।
৪। বাংলাদেশের ইন্টিলিজেন্স কমিউনিটির উচিৎ দ্রুততম সময়ে এসকল ষড়যন্ত্রকারী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ডকট্রিন সাজিয়ে সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৫। পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন যেমন তাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা ও উত্তরোত্তর তা বৃদ্ধি করতে থাকা।