ইসলাম ইনসাইট

মাইকেল চাকমাঃ পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ নেতা

খুনি হাসিনার পতনের পর কে বা কারা একে গোয়েন্দা সংস্থার হাত থেকে মুক্ত করিয়েছে। কতিপয় জাতীয় পত্রিকা এই সন্ত্রাসীর সাক্ষাৎকার নিয়ে ওকে সাধু হিসেবে ইতিমধ্যে প্রচার করেছে।

অথচ এই মাইকেল চাকমরাই বাঙালীদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক।বাংলাদেশ ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র বানানোর জন্য সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় চাকমারা। সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের অন্যতম নেতা এই মাইকেল চাকমা।

পার্শ্ববর্তী মায়ানমারের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে পাহাড়ে আসা উপজাতিদের ১০০% জনগোষ্ঠী স্বাধীন রাষ্ট্র বানানোর স্বপ্ন দেখে। বাঙালিকে ওরা একদম সহ্য করতে পারে না। ওরা পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালীদের ‘সেটেলার’ বলে। অথচ নিজেরাই উড়ে এসে জুড়ে বসা গোষ্ঠী।

সেটেলার মানে– কারো স্বাধীন ভূখণ্ড দখল করে বাড়িঘর তৈরি করা। অর্থাৎ ওরা বলছে– পার্বত্য তিন জেলা আলাদা রাষ্ট্র। বাঙালীরা অন্য রাষ্ট্র থেকে ওদের রাষ্ট্রে এসে জোরপূর্বক দখল করেছে। এটা তাদের সুস্পষ্ট দেশদ্রোহী আচরণ।

কিন্তু বাংলাদেশের একদল লোক আছে যারা বাঙালী হওয়া সত্ত্বেও পাহাড়িদের এসব দেশদ্রোহী কাজকে প্রমোট করে। খুব মায়াকান্না করে।বিশেষ করে এনজিওর তেল-ঝোল খাওয়া তথাকথিত সুশীল সমাজের কতিপয় লোকেরা এই কাজটা করে। সমস্যা হলো, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টাই এনজিওবাদী লোক। এনজিওর আঁতুড়ঘর পশ্চিমা দেশগুলো। সুতরাং এটা খুব স্বাভাবিক যে, বর্তমান সরকার থাকলে উপজাতিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। পেছন থেকে মদদ দেবে পশ্চিমা বিশ্ব। আর ভারত তো আছেই।

তাছাড়া বিদ্যানন্দের নামে হিন্দুত্ববাদীরাও পার্বত্য অঞ্চলে বিগত কয়েক বছর যাবৎ বেশ সক্রিয়। উসকানি এরাও দিচ্ছে।

সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্য অঞ্চলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে গেলে পশ্চিমা মিডিয়া সেনাবাহিনীর ওপর এথনিং ক্লিন্সিংয়ের অপবাদ দেবে। দেশীয় দালালরা সেই সুরে সুর মেলাবে। তথাকথিত ননসেন্সরা এসে ‘সেইভ পাহাড়ি আদিবাসী’ বলে আবেগে কেঁদে ফেলবে।

এভাবে সেনাবাহিনীকে খারাপ বানানোর প্রচেষ্টা চলছে। আজ সেনাবাহিনী না থাকলে পার্বত্য তিন জেলায় পা রাখার কথা চিন্তাও করা যেতো না। আমরা কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই পাহাড়ী এলাকায় ঘুরতে পারতাম না।

পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে, যেতে থাকবে। খুনি হাসিনার পতনের পর দেশ এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল হয় নি। আমেরিকা সেটা হতে দেবে না। ওরা বাঙালীকে সুন্দর রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখাবে। কিন্তু ওটা আসলে একটা বরশির টোপ।

কারণ, স্থিতিশীল রাষ্ট্র গঠন করে বাঙালীকে সুখে-শান্তিতে থাকতে দিয়ে আমেরিকার কোনো ফায়দা নেই। আমেরিকার দরকার অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বিদ্যমান আছে–এমন একটা রাষ্ট্র যাতে সহজে এসব রাষ্ট্রে নাক গলানো যায়। পরের সংসারে আগুন লাগানো ছাড়া সেখান থেকে স্বার্থ হাসিল করা যায় না।

তাই এসব ষড়যন্ত্র থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore