১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে সংঘটিত হয় ইতিহাসের ভয়াবহতম এক গণহত্যা। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মদদে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গডফাদার সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন কথিত শান্তিবাহিনী সেদিন অন্তত ৩৫ জন নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি কাঠুরিয়াকে মিথ্যা আলোচনার নামে ডেকে নিয়ে যায় এবং অকথ্য নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যা করে।
তাদের হাত-পা বেঁধে লাঠি, দা, বেয়নেটসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় নিরীহ মানুষগুলোকে। প্রতিটি লাশের বিকৃত চিত্রে ফুটে উঠেছিল সেই নিষ্ঠুরতার নির্মম দলিল, যা আজও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জীবন্ত সাক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, শান্তিবাহিনীর এই হত্যাযজ্ঞ ছিল ভারতের নীলনকশার অংশ। পাহাড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গডফাদার সন্তু লারমার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর মতো উগ্র পাহাড়ি সংগঠনও সাধারণ মুসলিমদের উপর নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা এবং হত্যার মতো জঘন্য কাজকে আঞ্জাম দিতে থাকে।
আজ পাকুয়াখালী গণহত্যার ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়নি। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও অদৃশ্য শক্তির কারণে খুনিদের কেউ আজও আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়ায়নি।
🔴এই ঘটনা প্রমাণ করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ভারতের ছত্রছায়ায় সবসময়ই বাংলাদেশে বিভাজন, দাঙ্গা ও অস্থিরতা ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাই জাতিকে রক্ষা করতে হলে এইসব দেশদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। আজ আমাদের চুপ থাকা কাল তাদের অপরাধকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার নামান্তর হবে।🔴