আরাকানের মংডু জেলার রোহিঙ্গা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছে ড্রাগ মাফিয়া সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি। সেইসাথে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মালিকানাধীন দোকানপাটের ভাড়া সংগ্রহ এবং বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর কাছ থেকে তথাকথিত ‘তহবিল অনুদান’ আদায়ের নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
গত ৩০শে সেপ্টেম্বর আরাকান আর্মির কয়েকজন কর্মকর্তা সমস্ত দোকান মালিককে একটি বৈঠকে ডেকে জানায়, এখন থেকে বাস্তুচ্যুত দোকান মালিকদের পরিবর্তে ভাড়া সরাসরি আমাদের কাছে পরিশোধ করতে হবে।
এক দোকান মালিক বলেন, তারা আমাদের বলেছিল যে যারা পালিয়ে গেছে তারা রোহিঙ্গা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাদেরকে ভাড়া দেয়া মানে আমরা রোহিঙ্গা সংগঠনদের সমর্থন করছি। তাই তারা আমাদের ভাড়া তাদেরকে (সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি) দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আমাদের দৈনন্দিন দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
মংডুর আরেকটি গ্রামের (থু উ লার গ্রাম) বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় প্রশাসক মোহাম্মদ রশীদ প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ১,০০,০০০ কিয়াত করে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির জন্য ‘তহবিল অনুদান’ হিসেবে চাঁদা আদায় করছেন। অথচ এই পরিবারগুলো নিজেরাও বাস্তুচ্যুত এবং ছোটখাটো দৈনিক কাজ ও কায়িক শ্রমের মাধ্যমে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।
উক্ত গ্রামের একজন বাসিন্দা জানান, আমরা গরিব এবং দিন দিন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি, তবুও তারা আমাদের সেনাবাহিনীকে ১ লাখ কিয়াত দিতে বাধ্য করছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের সাহায্য করার পরিবর্তে তারা আমাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। আমরা খুব করুণ অবস্থায় দিন পার করছি।
ড্রাগ মাফিয়া সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির পতনের সময় ঘনিয়ে আসছে। এজন্য তারা নানান কায়দায় রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে এখনই সময় প্রতিরোধ করার। তাই সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করতে হবে। সেইসাথে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।