মুসলিম বিশ্বের জন্য শক্তিশালী সামরিক বাহিনী এবং গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ সক্ষম গোয়েন্দা সংস্থা শুধু প্রয়োজন নয়, বরং টিকে থাকার অপরিহার্য উপকরণ। বাংলাদেশের মতো বহুস্তরের বহিঃশত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত রাষ্ট্রের জন্য এই কাঠামোগুলোর অস্তিত্ব অপরিহার্য।
হ্যাঁ, এটা সত্য যে মুসলিম বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রেই এই বাহিনী ও সংস্থাগুলো কখনো কখনো নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধেও ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এটাও স্বীকার করতে হবে, এই বাহিনী ও সংস্থাগুলো ছাড়া কোনো রাষ্ট্র বহিঃশত্রুর মুখোমুখি হয়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে না।
বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ ও আগ্রাসনের ধরন বদলেছে। আগের মতো সরাসরি সেনা হস্তক্ষেপ বা গোলাবারুদের যুদ্ধ এখন খুবই সীমিত। আধুনিক আগ্রাসনের কৌশল হলো Soft Approach এর মাধ্যমে Hard hit করে রাষ্ট্রকে ভেতর থেকে দুর্বল করা।
সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে নিষ্ক্রিয় করে শত্রুরা তথাকথিত ‘ভদ্র’ লোকদের দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে নেয়। এটি একটি কৌশলগত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ভিতর থেকে দুর্বল করা, বিভ্রান্তি তৈরি, ও সমাজের মূল স্তম্ভ ভেঙে ফেলা হয়।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শত্রুরা একই কৌশল বাস্তবায়ন করছে এবং এর পেছনে তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য কাজ করছে:
০১। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা ধ্বংসের লক্ষ্যে একটি সুপরিকল্পিত কৌশল চলছে। এতে কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার সামরিক সদস্যকে উদাহরণ বানিয়ে গোটা সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ওপর আঘাত হানা হচ্ছে, যাতে রাষ্ট্রকে ভিতর থেকে দুর্বল করা যায়।
০২। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এনজিও ও সোশ্যাল এক্টিভিস্টদের ছদ্মবেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই পরিচয়ের পেছনে থাকা ডার্ক সাইড প্যারাডাইম(Dark Side Paradigm) সম্পর্কে আমাদের এখনো পরিষ্কার ধারণা গড়ে ওঠেনি। বাহ্যিক চেহারা ও বক্তব্য একরকম হলেও তাদের আদর্শ ও এজেন্ডা ভিন্ন।
০৩। আমরা লক্ষ্য করছি, একটি আন্তর্জাতিক শক্তি মুসলিম বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক বাহিনীকে কাঠামোগতভাবে দুর্বল করার জন্য সক্রিয়। তারা জনগণের আস্থা বিচ্ছিন্ন করে ভিতরে অবিশ্বাস ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে। এই অপারেশন পাকিস্তানে বহু আগেই শুরু হয়েছে, এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত কৌশলে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আমরা লক্ষ্য করেছি একজন আলোচিত ব্যক্তি পিনাকী ভট্টাচার্য সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেছেন যে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW (Research and Analysis Wing) নাকি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। এই বক্তব্য স্পষ্টভাবে বোঝায়, এ বিষয়ে হয় তার হাতে কোনো বাস্তব তথ্য নেই অথবা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাচার করছেন।
বাস্তবতা হলো, RAW বিগত দুই দশকে ভারতের অভ্যন্তরে বহু রাজনৈতিক হত্যা, এবং আদর্শিক প্রতিপক্ষ দমনে সক্রিয়ভাবে জড়িত। একই সাথে, রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত ও শক্তিশালী করার প্রকৌশলগত কৌশলের মূল কারিগর হিসেবেও এই সংস্থা কাজ করেছে।
বিশেষ করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র এর অঘোষিত প্রধান নীতিনির্ধারক অজিত দোভাল এই ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর। তিনি শুধু একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাই নন, বরং বিজেপির হিন্দুত্ববাদী আদর্শের একজন সক্রিয় দার্শনিক। আজকের ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসনিক কাঠামো ও নিরাপত্তা কৌশলের কেন্দ্রে এই হিন্দুত্ববাদী নীতির উত্থানের পেছনে RAW এর ভূমিকা অপরিসীম।
এই প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট বোঝা যায়, পিনাকী ভট্টাচার্যের এ বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক কোনো জ্ঞান নেই, কিংবা তিনি জেনেবুঝেই এই তথ্য আড়াল করছেন অথবা ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছেন।
পিনাকী ভট্টাচার্য আরও বলেছেন, বাংলাদেশে DGFI কেন সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্প গুলো পর্যবেক্ষণ ও কনট্রোল করে। বাস্তবে, এই প্রশ্নটাই গোয়েন্দা বাস্তবতা সম্পর্কে তাঁর অজ্ঞতা কিংবা কৌশলগত বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিপ্রায় প্রকাশ করে।
আধুনিক যুগে একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে ক্লাসিক আগ্রাসনের প্রয়োগ প্রয়োজন হয় না। আজকের যুদ্ধ ন্যারেটিভ, মনস্তত্ত্ব এবং সামাজিক বিভাজনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আধুনিক হুমকি আসে ডিজিটাল ইনফরমেশন অপারেশন, সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার(মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ), ন্যারেটিভ সাবভারশন, এবং স্ট্র্যাটেজিক ইনফ্লুয়েন্স ক্যাম্পেইন এর মধ্য দিয়ে। শত্রুপন্থী কোন শক্তি সরাসরি অস্ত্র বা বিস্ফোরক নয়, বরং আইডিওলজিক্যাল ট্রোজান হর্স দিয়ে এসে রাষ্ট্রের ভেতর থেকে আঘাত হানে। এটি হতে পারে বিভ্রান্তিকর অর্থনৈতিক তথ্যপ্রবাহ, কনসার্টেড সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার স্পন্সরকৃত ইনফ্লুয়েন্সার নেটওয়ার্ক , কিংবা যুবসমাজে শত্রুর আদর্শের বিস্তার।
এসবই স্ট্র্যাটেজিক ন্যাশনাল সিকিউরিটি থ্রেট এবং এগুলো প্রতিহত করতে গোয়েন্দা সংস্থাকে All-Domain Intelligence Collection & Analysis চালাতে হয়, এর মধ্যে থাকে:
(A) HUMINT (Human Intelligence)
(B)SIGINT (Signal Intelligence)
(C)OSINT (Open Source Intelligence)
(D)PSYOP Monitoring
(E)Narrative Deconstruction & Threat Attribution
এই কারণেই DGFI-এর কাজ কেবল সীমান্তের বাইরে নজর রাখা নয়, বরং Hybrid Warfare-এর স্পেস, ডিজিটাল, সিভিল, একাডেমিক, এবং ইনফ্লুয়েন্স স্পেকট্রামে,একইসাথে সক্রিয় থাকা। এর জন্য অভ্যন্তরীণ (domestic) এবং আন্তর্জাতিক (external) উভয় ফ্রন্টেই ইনটেলিজেন্স অপারেশন চালাতে হয়।
কিন্তু পিনাকী ভট্টাচার্য হয় এ বিষয়গুলোর গভীরতা বোঝেন না, না হয় সচেতনভাবে Counter-Intelligence Subversion এ অংশ নিচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য দেখে বোঝা যায়, তিনি Intelligence Cycle, Threat Modeling, কিংবা Strategic Warning Framework এর মৌলিক উপাদান সম্পর্কেও অজ্ঞ, অথবা তিনি একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডার পক্ষে গণমানুষের চিন্তা-চেতনা ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেছেন, “5th Generation Warfare”—অর্থাৎ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ কেবলমাত্র এক্সটারনাল থিয়েটারে (external domain) পরিচালিত হয় না, বরং এটি ইন্টারনাল স্পেকট্রামে (internal spectrum) সমান তীব্রতায় সংঘটিত হয়। অথচ এর পরেও তিনি নিজ বক্তব্যেই আত্মবিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছেন।
পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং কার্যকরী দিক হচ্ছে Mass Cognitive Control, অর্থাৎ জনগণের মানসিকতা, আবেগ, মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসব্যবস্থাকে কৌশলগতভাবে প্রভাবিত করা। এই ধরণের পূর্ব-সক্রিয় মনস্তাত্ত্বিক নিয়ন্ত্রণ (pre-emptive psychological influence) দক্ষ গোয়েন্দা কাঠামো ছাড়া প্রতিহত করা কার্যত অসম্ভব।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা DGFI-এর অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার ওপর বর্তমানে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও সাংগঠনিক হুমকি আসছে ভারত ও ইসরায়েল থেকে। অতীতে মিয়ানমারও এই তালিকায় ছিল, কিন্তু বর্তমানে তার অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ভঙ্গুরতার কারণে এর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
ভারত ও ইসরায়েল বর্তমানে যৌথভাবে বাংলাদেশে একটি “Post-Intelligence Collapse Doctrine” বাস্তবায়ন করতে চায়, যার লক্ষ্য হলো, DGFI ও সামরিক বাহিনীকে ভেঙে ফেলে, রাষ্ট্র পরিচালনার ভার “NGO-Fronted Proxy Network” এবং সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্স অপারেটরদের হাতে তুলে দেওয়া। এই প্রকল্পের অগ্রভাগে রয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার ড. খলিলুর রহমানসহ একটি সুসংগঠিত গ্রুপ, যারা এই সিস্টেমিক সাবভার্সন পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
এই গোষ্ঠীর কৌশলগত উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট এবং সুসংহত:
এই গোষ্ঠী চায়, বাংলাদেশে যাতে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়। এর জন্য তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন-পূর্ব সময়েই DGFI ও সামরিক বাহিনীকে মারাত্মকভাবে দুর্বল ও বিতর্কিত করে তোলার মাধ্যমে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চায়। পরবর্তীতে তারা এই অস্থিতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে নিয়ন্ত্রিত সংঘর্ষ ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়, যাতে তারা তাদের পূর্বনির্ধারিত কৌশলগত স্বার্থ ও রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।
এই ষড়যন্ত্রের অন্তর্গত লক্ষ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে:
(ক) বাংলাদেশকে একটি দুর্বল, বিভক্ত মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করা যেখানে স্বাধীন নীতিনির্ধারণ ক্ষমতা থাকবে না।
(খ) সামরিক বাহিনী ও সাধারণ জনগণের মাঝে পারস্পরিক অবিশ্বাস, উত্তেজনা এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়ে “Military–Civilian Trust Collapse” সৃষ্টি করা।
(গ) “Prolonged Political Instability” এর সুযোগে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া।
(ঘ) বাংলাদেশকে সহায়তা করা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক দুর্বল করে, দেশকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন অবস্থানে ফেলে দেওয়া।
এই পুরো অপারেশনটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে কৌশলগত স্তরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যাতে রাষ্ট্রের মূল কাঠামো ভেঙে পড়ে, কিন্তু তা যেন বাহ্যিকভাবে “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ” বলে মনে হয়।
আমরা, ইসলাম ইনসাইট এবং আমাদের সঙ্গে থাকা বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞগণ (যাদের নাম আমরা প্রচার করি না), এই পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের প্রপাগান্ডার ফাঁদে পা দেবেন না।
যদি কেউ আমাদের উপর “মিলিটারি” কিংবা “DGFI”-এর দালালি করার অভিযোগ তোলেন, তাহলে তাদের স্পষ্ট করে মনে করিয়ে দিতে চাই, DGFI কিংবা যেকোনো সামরিক প্রতিষ্ঠান আমাদের ধারণ করার মতো সক্ষমতা রাখে না। আমরা তাদের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান করি, চিন্তায়, দায়বদ্ধতায়, এবং স্বার্থের ব্যাপ্তিতে।
আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার: আমরা চাই মুসলিম ওয়ার্ল্ড ও উম্মাহর স্থিতিশীলতা রক্ষা হোক, যেন এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপে জিম্মি না হয়। সুতরাং কেউ যদি কোনো “বাচাল” ন্যারেটিভ বা বিভ্রান্তিমূলক বিশ্লেষণে পা দিয়ে নিজের অবস্থান ধ্বংস করেন, তাহলে সেটি কেবল তার নিজের পায়ে কুড়াল মারা নয়, বরং বৃহত্তর বাংলাদেশকে শত্রুর দাবার ঘুঁটিতে পরিণত করার সমান।
মনে রাখবেন—পিনাকীরা এই দেশের ‘জুলাই’ এনে দেয়নি। যারা এনেছেন তারা প্রচার চায়নি, মিডিয়ায় আসেননি, এবং আপনার ‘ক্রেডিট’ পাওয়ার অপেক্ষায়ও ছিলেন না। তারা চায় আমরা মুসলিম হিসেবে আমাদের স্বকীয়তা, সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে বেঁচে থাকি। তারা চায় আমরা আমাদের বিশ্বাস, ইতিহাস ও আত্মপরিচয় নিয়ে বাঁচি—যেভাবে আমাদের পূর্বপুরুষ শাহ জালাল, তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ, শাহ মখদুম ও খান জাহান আলী রাহঃ বেঁচে ছিলেন। আমরা ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির চেতনার ধারক। আমরা এই দেশেই থাকবো, এই বিশ্বাসেই থাকবো।
তাই আমরা জনগণকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করছি—এইসব “সফট শয়তানি ন্যারেটিভ” থেকে দূরে থাকুন, এবং যারা পিনাকীর মতামতকে সমর্থন করছেন, তারা জেনে রাখুন—এই ব্যক্তিই একসময় শাপলা চত্বরের গণহত্যাকে সমর্থন করেছিলেন এবং আজও সেই ঘাতক ন্যারেটিভকেই নতুন রুপে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
আজকের ভিডিওতেও তিনি “থাবা বাবা” ও বিতর্কিত ব্লগারদের পক্ষ নিয়েছেন এবং সেই একই আদর্শিক কাঠামোর বাস্তবায়নের রূপরেখা দিচ্ছেন, যা একসময় দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি আবারও সেই পুরনো ন্যারেটিভ ফিরিয়ে আনছেন। এই দেশের সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির সাথে খেলে সাংবাদিকতা নয়, বরং এক ধরনের স্ট্র্যাটেজিক ডেসিপশন (কৌশলগত ধোঁকা) চালাচ্ছেন।
সুতরাং এখনই সময় জেগে ওঠার, সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার।