ইসলাম ইনসাইট

বিশ্বজুড়ে এলএনজির চাহিদা বৃদ্ধি : কাতারের উদ্যোগ

কাতারের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল-কাবি জানিয়েছেন, শীত মৌসুমে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। তিনি মনে করেন, ইউরোপের মজুদ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এই চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

দোহা ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে আল-কাবি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি ধীরগতি কাটিয়ে শিগগিরই গতিশীল হবে, যা জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বাড়াবে।’ পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে এলএনজির চাহিদা প্রতি বছর ৪-৭% বাড়তে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।

কাতার বর্তমানে বছরে ৭৭ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদন করছে, যা ১৬০ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমাতে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে আল-কাবি বলেন, ‘সূর্য সবসময় আলো দেয় না এবং বাতাস সবসময় প্রবাহিত হয় না। তাই টেকসই জ্বালানির প্রয়োজন রয়েছে। তরল প্রাকৃতিক গ্যাস একটি কার্যকরী বিকল্প।’

এদিকে কাতার পেট্রোকেমিক্যাল উৎপাদন ১৩০% বাড়াতে এবং বিশ্বের শীর্ষ সার উৎপাদনকারী দেশ হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম পলিথিন কারখানা নির্মাণ ও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সৌরশক্তি উৎপাদনেও কাতার অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৩০০% বৃদ্ধি করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন পরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নির্দেশনা (CS3D) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আল-কাবি বলেন, এসব বিধিনিষেধ কাতারের কার্যক্রমে বাধা দিলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

বিশ্বজুড়ে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাতার তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore