প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের একটি নতুন অর্জন সবার নজর কেড়েছে। বায়রাকতার টিবি-৩ ড্রোন প্রথমবারের মতো একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের রণতরী থেকে সফল উড্ডয়ন ও অবতরণ করেছে। এখন পর্যন্ত এই ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ সফলতা অর্জন করতে পারেনি।
বায়রাকতার টিবি-৩ তুরস্কের বৃহত্তম রণতরী টিসিজি আনাদোলুর ডেকে সফলভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করেছে। ড্রোনটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ভাঁজযোগ্য পাখা এবং ব্রেক ব্যবহার করে ডেকে অবতরণের সক্ষমতা। এটি হুক বা নেট ছাড়াই অবতরণ করতে পারে, যা অন্য কোনো দেশের ড্রোনে এখনো দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞ কুজান সেলজুক এরকান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনগুলো অবতরণে হুক ও অন্যান্য যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তুরস্ক এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছে, যা তাদের সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
বায়রাকতার টিবি-৩ ড্রোন তুরস্কের নজরদারি ও সামরিক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে। ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগরসহ দূরবর্তী এলাকায় এটির কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে। এটি নজরদারি ছাড়াও আক্রমণাত্মক কার্যক্রম চালাতে সক্ষম। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘত হানতেও পারঙ্গম এই ড্রোন।
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি টিবি-৩ ড্রোনটি আগের টিবি-২ মডেলের উন্নত সংস্করণ। এটি ১,৯০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এবং ৩৬ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এতে টিইআই পিডি-১৭০ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছে।
ইতোমধ্যে ড্রোনটি ৭০০ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইট পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। গত জুন মাসে উচ্চতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অক্টোবর থেকে এর উৎপাদন শুরু হয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ড্রোনটি রপ্তানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : টিআরটি অ্যারাবিক