সুদানের রাজধানী খার্তুমের দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন হামলায় অন্তত ২৯ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রোববার ঘনবসতিপূর্ণ মাইও বাজারে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলার পর তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে এবং আশপাশের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যায়। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি জ্বালানি স্টেশন। এলাকাটি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জার্মান বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মাইও এবং আল-আজহারি এলাকাগুলো আরএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন। মাইও বাজারে লুটপাট করা সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
হামলার দায় এখনো কোনো পক্ষ স্বীকার করেনি। তবে এটি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে চলমান সংঘাতের অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত এপ্রিলে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ফ্রান্স প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহানের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী খার্তুম পুনর্দখলের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। সংঘাতের শুরুতে আরএসএফ খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যার ফলে সুদানের সরকার বিকল্প সদর দপ্তর হিসেবে পোর্ট সুদানে স্থানান্তরিত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী দক্ষিণ খার্তুমের সিঞ্জা শহর পুনর্দখল করেছে। পাঁচ মাস ধরে আরএসএফ-এর দখলে থাকা এই শহর পূর্ব ও মধ্য সুদানের মধ্যে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
অন্যদিকে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুরের প্রায় পুরো অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সেনানিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে অগ্রসর হচ্ছে।
এপ্রিল থেকে চলা এই সংঘাত সুদানে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে। জাতিসংঘের মতে, সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দিন দিন পরিস্থিতি জটিল থেকে আরও জটিলতর হয়ে উঠছে।
সূত্র: আল জাজিরা