গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, একটি বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাকে অবস্থান করছিলো সেনারা। এ সময় এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধা অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে ট্রাকটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ট্রাকটি জাবালিয়া শিবিরে বাড়িঘর ধ্বংসের কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল।
ফিলিস্তিনের একটি সূত্র বলছে, বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলি হেলিকপ্টারগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত সেনাদের উদ্ধার করে।
এদিকে গাজার উত্তরের নেটজারিম এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে কুদস ব্রিগেড। তাদের দাবি, খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলের একটি আত্মঘাতী ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এ ছাড়া আল আকসা ব্রিগেড নেটজারিমে আরেকটি কমান্ড সেন্টারে রকেট হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
জাবালিয়ার আবু হোসেন স্কুলে হামলায় বহু শরণার্থী হতাহত হয়েছেন। গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে উদ্ধারকর্মীরা ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে এক হামলায় তিন শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিস ও আশপাশের এলাকাতেও একাধিক হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৭৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৬ হাজার ১৩৪ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা